বিষয়টি চিঠি চালাচালির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও দীর্ঘ ৭ মাসেও কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জানা যায়, এজিএসপি প্রকল্পের আওতায় সৈয়দপুর পৌর এলাকার পাঁচমাথা মোড় থেকে সৈয়দপুর-পার্বতীপুর পর্যন্ত রাস্তা এবং বিমানবন্দর থেকে পার্ক মোড় পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ, ড্রেন নির্মাণ ও এলইডি লাইট স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির সময় প্রথমে অসাবধানতায় সেনানিবাস ও বিমানবন্দর এলাকায় টেলিফোনের ভূ-গর্ভস্থ তার কেটে ফেলে। এতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় টেলিফোন লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে গুরুত্বপূর্ণ এসব এলাকার কিছু লাইন ঠিক করলেও শহরের পাঁচমাথা মোড়ে বিটিসিএলের ক্যাবল লাইন আবারও কাটা পড়ে। ফলে সৈয়দপুর সেনানিবাস, বিমানবন্দর, উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪ শতাধিক টেলিফোন অকেজো হয়ে পড়ে।
বিটিসিএল সৈয়দপুর কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান জানান, পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রশস্তকরণ ও ড্রেন নির্মাণ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত ক্যাবল কেটে গেছে। যার দাম ২২ লাখ ২৬ হাজার ৯৯ টাকা। টাকার বিষয়টি অবগত ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে পৌরসভা বরাবরে কয়েক দফা চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কোন সাড়া দিচ্ছে না। ফলে অকেজো টেলিফোন কবে নাগাদ চালু হবে তা নিয়ে গ্রাহকরা সংশয়ে রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে পৌরসভার মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, কাজের দায়িত্ব যেহেতু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তাই ক্ষতিপূরণ বা লাইন মেরামত করে দেয়ার দায়িত্বও তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
আরএ