ঢাকা, শনিবার, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ০১ মার্চ ২০২৫, ০০ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

সবুজ স্বর্গে রূপ নিচ্ছে এয়ারপোর্ট রোড

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
সবুজ স্বর্গে রূপ নিচ্ছে এয়ারপোর্ট রোড যেমন হচ্ছে এয়ারপোর্ট রোড

ঢাকা: বদলে যাচ্ছে বনানী-এয়ারপোর্ট সড়কের চেহারা। নিরাপত্তা ও সৌন্দর্যের অভূতপূর্ব সমন্বয়ে যেনো হয়ে উঠছে সবুজ স্বর্গের স্নিগ্ধ পথ। যে রাস্তা এক সময় গাছের অভাবে খাঁ খাঁ করতো, যে পথের পাশে এক সময় সবুজের জন্য আকুতি ফুটতো হাতে গোনা ক’টা রেইন ট্রি আর নি:সঙ্গ কৃষ্ণচূড়ায়, সে পথই এবার ছেয়ে যাবে সবুজে সবুজে।

যে পথের পাশেই থাকছে দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার পরিচ্ছন্ন হাঁটা পথ। যে পথের ওপরই রঙিন ঘাসের ওপরে মাথা তুলবে বনসাঁই-বট, ঝাউ আর রকমারি ফুলের গাছ।

ক্লান্ত হলে বিশ্রামের জন্য পাথরের বেঞ্চও পাতা থাকবে পথেরই ওপরে। পাশেই রেলের জায়গায় অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া নার্সারিগুলো যেনো ফুটপাতেই অন্যরূপে সবুজের ছটা ছড়াবে এবার।

রাতে মাথার ওপরে স্নিগ্ধ আলো ছড়াবে ঝাড়বাতি আকৃতির ল্যাম্প পোস্ট। এমন ল্যাম্পপোস্ট বাংলাদেশের রাস্তায় কেউ কখনো দেখেনি। এগুলোকে দেখলে নিশ্চিত করেই রাজকীয় বাগানের কথা মনে পড়বে।

আর থাকবে নিরাপত্তা দেওয়াল। ৪ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার এই দেওয়াল বসবে সড়কের উত্তর পাশে। সে দেওয়াল আবার মোড়ানো থাকবে সবুজ লতায়। এর ওপর দিয়ে দেখা যাবে জোড়া লাইনে ট্রেনের আসা-যাওয়া। কিন্তু দেওয়াল অতিক্রম করে বাইরে থেকে ভেতরে, বা ভেতর থেকে বাইরে যাওয়া সম্ভব হবে না। তাই দিন-দুপুর কি রাত-বিরেতে নিশ্চিত মনে হাঁটা যাবে ফুটপাতে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপ তাদের নিজস্ব অর্থায়ন, ডিজাইন ও পরিকল্পনায় এই সৌন্দর্যায়ন করছে।   মূল প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ৯০ কোটি টাকা। তবে ১০ বছর মেয়াদে এ প্রকল্পে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয় করবে তারা। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকল্পের সূচনা করেন।

এরইমধ্যে বেশ এগিয়েছে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। অধিকাংশ স্থানে উঠে গেছে নিরাপত্তা দেওয়ালের মূল কাঠামো। বাকি অংশের দেয়ালও নির্মাণাধীণ।  

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এ কাজ এগিয়ে চললেও রেলওয়ে ও মেট্রোপুলিটন পুলিশ আর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বেজায় খুশি এ কাজে।

রেলওয়ে পুলিশের কমলাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক বলছেন, এখানে নিরাপত্তা, মাদক ও মানুষের প্রাণ বাঁচাতে এই নিরাপত্তা দেওয়াল খুবই কাজে দেবে।

খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল হক বলেন, দেয়ালটি খুবই দরকার। দেয়াল থাকলে এ রাস্তায় ছিনতাই করা কঠিন হয়ে যাবে।
 
রাজউকের হাতিরঝিল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জামাল আক্তার ভূঁইয়া’র মতে, এরকম দেয়াল দেয়া হয় সুরক্ষার জন্য, নিরাপত্তার জন্য। এ দেওয়াল সবুজায়নেও সহায়ক হবে।  

বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ) চেয়ারপারসন ও প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, রেললাইনের পাশে অবশ্যই একটি ভালো ব্যরিকেড ও দেয়াল দরকার। যাতে মানুষ অবাধে রেল লাইনের ওপর আসতে না পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
এসএ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।