যে পথের পাশেই থাকছে দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার পরিচ্ছন্ন হাঁটা পথ। যে পথের ওপরই রঙিন ঘাসের ওপরে মাথা তুলবে বনসাঁই-বট, ঝাউ আর রকমারি ফুলের গাছ।
রাতে মাথার ওপরে স্নিগ্ধ আলো ছড়াবে ঝাড়বাতি আকৃতির ল্যাম্প পোস্ট। এমন ল্যাম্পপোস্ট বাংলাদেশের রাস্তায় কেউ কখনো দেখেনি। এগুলোকে দেখলে নিশ্চিত করেই রাজকীয় বাগানের কথা মনে পড়বে।
আর থাকবে নিরাপত্তা দেওয়াল। ৪ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার এই দেওয়াল বসবে সড়কের উত্তর পাশে। সে দেওয়াল আবার মোড়ানো থাকবে সবুজ লতায়। এর ওপর দিয়ে দেখা যাবে জোড়া লাইনে ট্রেনের আসা-যাওয়া। কিন্তু দেওয়াল অতিক্রম করে বাইরে থেকে ভেতরে, বা ভেতর থেকে বাইরে যাওয়া সম্ভব হবে না। তাই দিন-দুপুর কি রাত-বিরেতে নিশ্চিত মনে হাঁটা যাবে ফুটপাতে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপ তাদের নিজস্ব অর্থায়ন, ডিজাইন ও পরিকল্পনায় এই সৌন্দর্যায়ন করছে। মূল প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ৯০ কোটি টাকা। তবে ১০ বছর মেয়াদে এ প্রকল্পে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয় করবে তারা। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকল্পের সূচনা করেন।
এরইমধ্যে বেশ এগিয়েছে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। অধিকাংশ স্থানে উঠে গেছে নিরাপত্তা দেওয়ালের মূল কাঠামো। বাকি অংশের দেয়ালও নির্মাণাধীণ।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এ কাজ এগিয়ে চললেও রেলওয়ে ও মেট্রোপুলিটন পুলিশ আর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বেজায় খুশি এ কাজে।
রেলওয়ে পুলিশের কমলাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক বলছেন, এখানে নিরাপত্তা, মাদক ও মানুষের প্রাণ বাঁচাতে এই নিরাপত্তা দেওয়াল খুবই কাজে দেবে।
খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল হক বলেন, দেয়ালটি খুবই দরকার। দেয়াল থাকলে এ রাস্তায় ছিনতাই করা কঠিন হয়ে যাবে।
রাজউকের হাতিরঝিল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জামাল আক্তার ভূঁইয়া’র মতে, এরকম দেয়াল দেয়া হয় সুরক্ষার জন্য, নিরাপত্তার জন্য। এ দেওয়াল সবুজায়নেও সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ) চেয়ারপারসন ও প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, রেললাইনের পাশে অবশ্যই একটি ভালো ব্যরিকেড ও দেয়াল দরকার। যাতে মানুষ অবাধে রেল লাইনের ওপর আসতে না পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
এসএ/জেডএম