শনিবার (২০মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে রমজান উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের কাছ থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার তার সহকর্মীদের এ নির্দেশনা দেন।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রুহুল আমিন সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ সাফিউল সরোয়ার, সদর সার্কেল এএসপি জাহাঙ্গীর আলম, প্রফেশনাল সহকারী পুলিশ সুপার মান্না দে ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রশিদ, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় জানানো হয়, আসন্ন পবিত্র রমজানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং রাঙ্গামাটিতে আগত পর্যটকদের যাতায়াত নিরাপত্তা নির্বিঘ্ন করতে জেলা পুলিশ বিভাগ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে জেলার কাউখালী থানা ও কোতোয়ালি থানার সমন্বয়ে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম রুটে টহল জোরদারের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়াও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ বাহিনী জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে যেখানেই সন্ত্রাস সেখানেই তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনার কথাও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান।
এদিকে রমজানে যাতে করে নামাজ-সেহেরি ও ইফতারের সময়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ রাখা যায় সে ব্যাপারেও বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবে পুলিশ। এ বিষয়ে এডিশনাল এসপিকে নিয়মিত যোগাযোগের নির্দেশনাও দেন পুলিশ সুপার।
এদিকে সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালিত হয় সেসব আবাসিক হোটেল-মোটেল ও ক্লাবগুলোতেও অভিযান পরিচালনা করবে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
অপরদিকে, মাদকের ব্যাপারে পুলিশ সুপার জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী আমাদের দেশে অন্যতম প্রধান সমস্যা জঙ্গিবাদের পরেই মাদক সমস্যা। এ মাদকের বিস্তার রোধে পুলিশ বাহিনী কঠোর অবস্থান নীতি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
আরএ