বিশ্বের জঙ্গিবাদ দমন, জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্য ও কার্যক্রম, শ্রমবাজার রক্ষা ও বিস্তার, নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন, নতুন সফরসূচির সুযোগ সৃষ্টিসহ আন্তর্জাতিক একটি আয়োজনে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব একটি বিশেষ গুরুত্বের দিক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরকে ‘কার্যকরই’ মনে করছেন কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সফরটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তব চিন্তার ধারণা থেকে এটি গ্রহণ করা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে যার কার্যকারিতা অনেক।
শ্রমবাজারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশের প্রচুর মানুষ সৌদি আরবে কাজ করেন এবং তারা সেখানে খুবই সমাদৃত। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের সরকারের জন্য একটি বড় চিন্তার কারণ। পূর্বে আমরা ইরাক যুদ্ধে লক্ষ্য করেছি প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে সরিয়ে আনতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল। এমন ঘটনা ঘটার আগে সৌদি জোটে থেকে তা প্রতিরোধ করা একটা ভালো পদক্ষেপ হতে পারে।
তিনি বলেন, তাছাড়া দেশটি আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এ সুযোগে সম্পর্ক আরও উন্নত হবে বলে মনে করি।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর শনিবার (২০ মে) দুপুরে বাংলানিউজকে জানান, বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং সাফল্য বলতে পারেন। রয়েছে সাইড লাইন বৈঠকও।
তিনি জানান, সম্মেলনের প্রতিপাদ্য- ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন’। সে পয়েন্ট থেকে দুটি কাজ হতে পারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণে।
এক. বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে কী করছে তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানানো।
দুই. এ জোটটি (সৌদি জোট) এখনও প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। তাই এটার কী কাঠামো দাঁড়াবে সে সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা রাখা এবং নিজেদের অবস্থান জানানো।
হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরব সফরকালে সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে বৈঠকের কথা শুনেছি। সেখানে রয়েছে বিশাল শ্রমবাজার। সে বিষয়ে সম্ভবনার আরও সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
সাবেক এ রাষ্ট্রদূত বলেন, তবে এ সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত কী সুযোগ আমরা কীভাবে ব্যবহার করবো, কী উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবো তার কৌশল কাজে লাগাতে হবে।
এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ সম্মেলনে যোগ দেওয়া বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। কিন্তু মুসলিম বিশ্বের সমস্যা সমাধানে তার ভিশন কী হতে পারে এবং তিনি কী শক্ত পরামর্শ দেন তার ওপর নির্ভর করবে সাফল্য। নাকি সেখানে একটি ফটোসেশনের জন্য মুসলিম বিশ্ব তাকে মনে রাখবে তা ভবিষ্যৎ বলবে।
যদিও ইরানকে বাদ দিয়ে, সুন্নি সমর্থিত ৫০ দেশের ইসলামি জোটের সম্মেলনের সফলতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিদেশের বিশ্লেষকরা।
সম্মেলনে যোগ দিতে শনিবার সন্ধ্যায় (২০ মে) রওয়ানা হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ প্রধানমন্ত্রীকে সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রোববার (২১ মে) রাজধানী রিয়াদে যার সূচনা। এতে যোগ দিতে ইতোমধ্যে দেশটিতে পৌঁছে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলাল্ড ট্রাম্প; বাদশার সঙ্গে একদফা বৈঠকও করেছেন তিনি।
সৌদি বাদশার সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
কেজেড/আইএ