এভাবেই শনিবার (২০ মে) দুপুরে নিজের শিক্ষা জীবনের স্বপ্ন ভঙ্গের কথা বাংলানিউজকে জানান মেহেরপুর সরকারি কলেজের ছাত্র জাকিরুল ইসলাম। তিনি জানান, তার বাড়ি পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায়।
সরজমিনের দেখা যায়, সুবজ ছায়া ঘেরা বৃক্ষরাজির সমারোহে ৩৫ একর জায়গা জুড়ে মেহেরপুর সরকারি কলেজের অবস্থান। এই কলেজে রয়েছে একটি আইসিটি ভবন, প্রশাসক ভবন, আইসিটি ল্যাব, বাণিজ্য ভবন, ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদা কমন রুম, পাঁচতলা বিশিষ্ট নবণির্মিত ১৫০ বেডের ছাত্রী হোস্টেল, একটি সাইকেল গ্যাজ। রয়েছে ২০ হাজার বই সমৃদ্ধ বিশাল গণস্থাগার।
রয়েছে বিশাল আকারের পুকুর। কলেজে এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে যাতায়াতের জন্য রয়েছে একাধিক পাকা রাস্ত। পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ফলজ, বনজ, ওষুধি বৃক্ষ চোখে পড়ে।
কলেজের প্রধান সহকারী সালমা আক্তার জানান, ১৯৬২ সালে এইচএসসি বিভাগ দিয়ে এই কলেজের যাত্রা শুরু। ১৯৮৯ সালের ৭ মে এ কলেজ সরকারি করা হয়। চারটি বিভাগ দিয়ে (বাংলা, ইংরেজি, রাষ্ট্র বিজ্ঞান, অর্থনীতি) কলেজে অনার্স কোর্স চালু হয়। বর্তমান এখানে ৮টি বিষয়ে অর্নাস পড়ার সুযোগ রয়েছে।
উচ্চ শিক্ষার সুবিধার্থে ২০১৩ সালে বাংলা, ইংরেজি, রাষ্ট্র বিজ্ঞান, অর্থনীতি এই চার বিভাগে মাস্টার্স কোর্স চালু হয়।
এইচএসি, অনার্স ও মাস্টার্স মিলে কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। এর মধ্যে ছাত্রী প্রায় ২২ শ’। ছাত্র ২৮শ’।
কলেজে ৫০ শিক্ষক শিক্ষিকা পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৩৭ জন। ২৮ জন কর্মচারীর মধ্যে বর্তমানে রয়েছেন মাত্র ১৪ জন।
মেহেরপুর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার জানান, কলেজে যাতায়াতের জন্য তাদের কোন বাস নেই।
রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহা. আবব্দুল্লাহ আল আমীন জানান, শুধু মেহেরপুর জেলা নয়, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, দামুড়হুদা, জীবনগরন, আলমডাঙ্গাসহ মীরপুর এবং ভেড়া মারা অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এই কলেজে অনার্সসহ বিভিন্ন পড়াশুনা করতে আসেন। কিন্তু তারা বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
জিপি/জেডএম