প্রচণ্ড গরমের কারণে জেলা শহরের হাসপাতালগুলোতে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়াও শ্রমিকদের নিত্যদিনের কাজ-কর্ম করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তীব্র গরমে ডাব, আখের রস, বিভিন্ন প্রকৃতির শরবতের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় জমে উঠেছে।
এদিকে, লাগাতার লোডশেডিংয়ের কারণে দিনাজপুরের কল-কারখানাগুলোতে কাজ করা যাচ্ছে না। সময়মতো কাজ করতে না পারায় লোকসান গুনতে হচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। পড়াশুনা ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
দিনাজপুর পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী আনিকা রহমান স্নেহা বাংলানিউজকে বলে, এতো গরম সহ্য করার মতো নয়। বিদ্যুৎ না থাকায় ঠিকমতো স্কুল ও বাড়িতে পড়াশোনা করতে পারছি না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১৬ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে না। গরমে অন্তত বিদ্যুৎ থাকলেও কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক তোফাজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, গত কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা একটু বেড়েছে। শনিবার (২০ মে) দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসবে ও আগামী তিন দিন তাপ প্রবাহের সম্ভবনা রয়েছে।
দিনাজপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ থেকে মো. রুবেল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, গরম বাড়ার পাশাপাশি মানুষের বিদ্যুতের ব্যবহারও বেড়েছে। বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার হওয়ার কারণেই লোডশেডিং হচ্ছে। শনিবার (২০ মে) দিনাজপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর আওতাভুক্ত এলাকাগুলোর জন্য জাতীয় গ্রিড থেকে সাড়ে ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেখানে বর্তমানে চাহিদা রয়েছে ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের। লোডশেড না দিলে বা নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার বাহিরে বিদ্যুৎ খরচ করলে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ বিছিন্ন করে দেয়। তাই বাধ্য হয়ে লোডশেড দিতে হচ্ছে।
দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পারভেজ সোহেল রানা বাংলানিউজকে জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে সাধারণ মানুষ শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া বা পানিবাহিত রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালমুখী হচ্ছে। এ কারণে হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরগুলোতে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এই গরমে সাধারণ মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে বেশি করে পানি, স্যালাইন পানি, ডাবের পানি বা তরল জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
এসএনএস