শনিবার (২০ মে) রাতে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে দুই সহোদরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। রোববার (২১মে) ওই কিশোরী পিরোজপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, কয়েকমাস আগে এনায়েত হোসেন ফকির প্রতিবেশী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে কলা খাওয়ার কথা বলে ঘরে ডেকে নেয়। এরপর তাকে ধর্ষণ করে। ফলে কিশোরীটি বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ খবর জানাজানি হলে এনায়েত হোসেন ফকির ও তার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন ফকির মেয়েটির বাবাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা না করার হুমকি দেয়। এরপর স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন।
শনিবার রাতে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে এনায়েত হোসেন ফকিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও তার ভাই আনোয়ার হোসেন ফকিরের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেন।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, রোববার পিরোজপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামলার পর আসামিরা পলাতক রয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
আরএ