রোববার (২১ মে) দুপুর ২টায় ফতুল্লার উত্তর হাজীগঞ্জ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ইব্রাহীম মিয়া (৫০) নামে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার এক চালক।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছুরিসহ ছেলে ফয়সালকে আটক করেছে।
ইব্রাহীম মিয়ার স্ত্রী সৌদিপ্রবাসী। ৪ ছেলে ২ মেয়ে। সবার বড় ফয়সাল স্থানীয় একটি গার্মেন্টসের কর্মী। আর ফয়সালের ছোট লিজা আক্তার।
লিজা বাংলানিউজকে বলেন, আমি ছোট ভাই-বোনদের নিয়ে বাসায় থেকে সাংসারিক কাজ করি। বাবা প্রায় সময় বাসায় এসে ছোট-ভাই বোনদের মারধর করতেন। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকেও মারধর করতেন। রোববার দুপুরেও ছোট ভাই-বোনদের মারধর করলে আমি প্রতিবাদ করি। এতে আমাকে মারধর করেন বাবা।
এসময় গার্মেন্টস থেকে দুপুরের খাবার খেতে এসে বড় ভাই ফয়সাল বিষয়টি জানতে পেরে বাবার ওপর ক্ষিপ্ত হন। এ নিয়ে তর্কের এক পর্যায়ে ফয়সালকেও বাবা মারধর করেন। ফয়সাল ক্ষিপ্ত হয়ে বাবার বুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এতে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ফয়সালকে ছুরিসহ আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি আরও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
এইচএ/