রোববার (২১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সেমিনারে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের প্রতি এ অনুরোধ জানান তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘তামাক (বিড়ি ও সিগারেট) স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক, বিষয়টি আমরা সবাই জানি।
তিনি বলেন, ‘এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা সবাই হতদরিদ্র। প্রয়োজনে সব এমপির সঙ্গে কথা বলে সংসদে এ বিষয়ে কথা বলবো’।
‘অর্থমন্ত্রী গরিবদের পছন্দ করেন না। তাই বিদেশি কোম্পানি ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকোকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিচ্ছেন। তারা দাদন দিয়ে দেশের কৃষিজমিতে তামাক উৎপাদন করছেন। অথচ তাদের ওপর কর বাড়াচ্ছেন না অর্থমন্ত্রী। শুধু বিড়ির ওপর কর বাড়াচ্ছেন। শিল্পকে বন্ধ করে দিচ্ছেন। এটি হতে দেওয়া হবে না’।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. আমিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল, ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান ও সহ সম্পাদক হারিক হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘দুই বছরের মধ্যে বিড়ি শিল্পকে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে দেওয়া অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। বিড়ি শিল্প বন্ধ করতে হলে সিগারেট শিল্পকেও বন্ধ করতে হবে। সেক্ষেত্রে বিড়ি শ্রমিকদের জন্য বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। বিড়ি শিল্প ও বিড়ি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সব ধরনের ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে’।
অবিলম্বে অতিরিক্ত কর প্রত্যাহার করে বিড়ি শিল্প শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোরও দাবি জানান বক্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
এমএফআই/জেডএস/এএসআর