পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ানুজ্জামানের আদালতে এ মামলা করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান আবু। রোববার (২১ মে) বিকেলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, কমান্ডার আবদুল মান্নান হাওলাদারের ভাই আ. রাজ্জাক, বোন জামাতা হজরত আলীসহ খাকি পোশাকধারী চার থেকে পাঁচজন এবং সাদা পোশাকধারী পাঁচ থেকে সাতজন অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি।
মামলা পরিচালনাকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার কীর্ত্তনিয়া মিন্টু বলেন, আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা নম্বর সিআর ১২২/১৭।
তিনি আরও বলেন, এটি আদালতে দাখিল করার পর বিচারক দীর্ঘক্ষণ আইনি পর্যালোচনা শেষে বিকেলে এ আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৯ জুন মামলার ৪ নম্বর সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন অধিকারীকে রাজাকার জালালের বাড়ির সামনে ওয়াপদার উপরে বসে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ছুরি চালানো হয়। তবে চিত্তরঞ্জন অধিকারীকে হত্যা করতে না পেরে পরদিন ৩০ জুন তার আপন চাচা সুরেন্দ্র নাথ অধিকারীকে হত্যা করে মরদেহ গুম করে ফেলা হয়। ১৮ আগস্ট বাদীর বাবা মতিয়ার রহমান এবং ১ নম্বর সাক্ষী মনমথ রঞ্জন মিস্ত্রির বাবা মনোহর মিস্ত্রিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে মনোহরের বাড়িতে লাগানো হয় আগুন।
পূর্ব পাকিস্তান সেনাদের দোসর আলবদর, আলশামস, রাজাকারদের কাছে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র নিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষের বাড়ির গরু, মহিষ ও গচ্ছিত অর্থ সম্পদ লুটপাট, এলাকায় ত্রাস সৃষ্টিসহ একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
মামলার বাদী মিজানুর রহমান আবু বলেন, আমার বাবার হত্যাকারীদের বিচারের জন্যই এ মামলা করেছি। আশা করছি আদালত হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবেন।
পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিচারক মামলাটি দীর্ঘক্ষণ আইনি পর্যালোচনা শেষে আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
এমইউএম/আইএ