রোববার (২১ মে) দিনগত রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার নামাবাড়ী এলাকা থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শাশুড়ি রোকেয়া বেগম ও ননদ ফারজানা আক্তারকে আটক করা হয়েছে।
বিথীর বাবা মো. হায়দার আলী বাংলানিউজকে অভিযোগ করেন, প্রায় বছর খানেক আগে তার মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করে। তবে শুরু হয় যৌতুকের চাপ। মৃত্যুর দিনও ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করা হয়। না দেওয়ায় স্বামীর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
হায়দার আলী হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চান।
সোমবার (২২ মে) সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যোবায়ের বাংলানিউজকে জানান, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। সঠিক কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের লোকজনদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে গ্রেফতার দেখানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
আরবি/আইএ