ঢাকা, সোমবার, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৩ মার্চ ২০২৫, ০২ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

উত্তরের ১৬ জেলায় পণ্য পরিবহনে কর্মবিরতির সময় বাড়লো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫১ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
উত্তরের ১৬ জেলায় পণ্য পরিবহনে কর্মবিরতির সময় বাড়লো কর্মবিরতির ফলে বিভিন্ন স্থলবন্দর ও টার্মিনালে আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী যানবাহন। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে উত্তরবঙ্গ ট্রাক, ট্যাংক-লরি, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনের মত অব্যাহত রয়েছে। 

এ কারণে রোববারের (২১ মে) মতো সোমবারও (২২ মে) বিভাগীয় শহর রাজশাহীসহ উত্তরের ১৬ জেলা থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক, ট্যাংক-লরি, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ ছেড়ে যায়নি।  

কর্মসূচির ডাক দেওয়া পরিষদের পক্ষ থেকে কর্মবিরতি আরও একদিন বাড়ানো হয়েছে।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কর্মসূচি মঙ্গলবার (২৩ মে) সকাল ৬টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন সময় বাড়ানোর ফলে তা বুধবার (২৪ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত চলবে। রোববার সকাল ৬টা থেকে পরিষদের রাজশাহী অঞ্চল এ কর্মবিরতিতে গেছে।  

এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গ ট্রাক, ট্যাংক-লরি, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সাত দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের দাবি পূরণের ব্যাপারে সরকারের কেউ এগিয়ে আসেনি। তাই কর্মসূচি বাড়ানো হয়েছে।  

তিনি বলেন, রোববার সকাল থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচি বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চলবে। এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

দাবি উত্থাপনে নেতাদের নিয়ে দুপুর ১২টায় বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান সাদরুল ইসলাম।

এদিকে, পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় বেকাদায় পড়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। রাজশাহী থেকে কোনো ধরনের পণ্য তারা রাজধানী ঢাকা বা দেশের অন্য স্থানে পাঠাতে পারছেন না রোববারের পর হতে। এ কর্মসূচির ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কয়েকশ’ পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। এর মধ্যে কাঁচামাল ও ফল ছাড়াও রয়েছে পাথরবোঝাই ট্রাক। কর্মবিরতি শেষের অপেক্ষায় রয়েছে ট্রাকগুলো।  

গত ১৩ মে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে দু’দিনের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়। পাশাপাশি দাবিগুলো মেনে নিতে সংশ্লিষ্টদের সময় দেওয়া হয়। কিন্তু দাবি পূরণে সাড়া না পাওয়ায় কর্মবিরতি আরও বাড়িয়ে দেওয়া হলো।

ওই দিনের সংবাদ সম্মেলনে সাত দফা দাবি সম্পর্কে বলা হয়, ট্রাক, ট্যাংক-লরি, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ ভ্যানের কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স চেকিংয়ের নামে সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের পুলিশি হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ; বাম্পার, সাইড অ্যাঙ্গেল ও হুক খোলার সরকারি আদেশ প্রত্যাহার; মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নতুন সড়ক পরিবহন খসড়া আইন প্রত্যাহার; বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ব্রিজ স্কেলের নামে চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ; সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করতে হবে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ, নতুন ড্রাইভিং ও হেভি লাইসেন্স সহজ শর্তে দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
এসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।