খাদ্যে ভেজালের প্রমাণ পেলে ৫ বছরের জেল অথবা ৫ লাখ টাকা জরিমানার মামলা করার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে ইন্সপেক্টরদের। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নির্দেশে রোজার মাসে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ দেওয়া হচ্ছে।
স্যানিটারি ইন্সপেক্টররা খাদ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, ব্যবসায়ীদের জিএমপি ও জিএইচপি প্রশিক্ষণ, ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরিসহ প্রতিদিন কমপক্ষে ৮টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন বলে বুধবার (২৪ মে) পাঠানো প্রজ্ঞাপনে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তারা রোজার মাসে কিচেন মার্কেট, ফল ও মাংসের দোকান এবং রেস্টুরেন্ট পরিদর্শন করে সন্দেহযুক্ত খাদ্যের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠাবেন এবং ভেজালের প্রমাণ পাওয়া গেলে নির্দিষ্ট মেয়াদের শাস্তিযোগ্য মামলা করার ক্ষমতা রাখবেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে দেশের প্রতিটি বিভাগের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে এ কার্যক্রম চালানো হবে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘সুস্থ জীবনের নিরাপদ খাদ্য’ বিষয়ক সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী স্যানিটারি ইন্সপেক্টরদের রমজান মাসে প্রতিদিন ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযান চালানোর নির্দেশনা দিয়ে বলেন, শুধু রোজার সময় নয়, জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে স্যানিটারি ইন্সপেক্টরদের এই অভিযান সারা বছর অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ভেজাল ও দূষিত খাবার খেয়ে ইদানিং মানুষের নানা ধরনের অসুখ হচ্ছে। ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, হার্টের দূরারোগ্য রোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগের প্রকোপ বাড়ছে অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে। তাই রোগের চিকিৎসা করার চাইতে রোগ যেন না হয় সেদিকেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযান চালানোর পাশাপাশি ভোক্তাদের সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে হাট, বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রচারণা কার্যক্রম চালানোর জন্য ইন্সপেক্টরদের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
এমএন/এমজেএফ