বুধবার (২৪ মে) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মৌকুড়ি গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। অনন্ত মাগুরা জেলা সদরের পারনান্দুয়ালী গ্রামের অনিল দাসের ছেলে।
অনন্তের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি স্ট্রোক করে মারা গেছেন তিনি। তবে তার নিজের পরিবারের মধ্যে মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হওয়াতে পরিবারের পক্ষ থেকে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য থানায় আবেদন করা হয়েছে।
অনন্তের বড় ভাই সুশান্ত দাস বাংলানিউজকে বলেন, দেড় বছর আগে আমার ভাই অনন্তের সঙ্গে পূর্ব মৌকুড়ি গ্রামের পরেশ দাসের মেয়ে উন্নতি দাসের বিয়ে হয়। শুক্রবার (১৯ মে) অনন্ত তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। বুধবার সকালে আমাদের কাছে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, আমার ভাই স্ট্রোক করে মারা গেছে। এরপর আমরা তার শ্বশুরবাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আমার ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই। হঠাৎ করে আমার ভাইয়ের অকাল মৃত্যু আমাদের কাছে গোল মাল মনে হচ্ছে। তাই আমার ভাইয়ের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালিয়াকান্দি থানায় লিখিত আবেদন করেছি।
অনন্তের শ্বশুর পরেশ দাস বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার (২৩ মে) রাতে অনন্ত কাঁঠাল খায়। এরপর রাত ৩টার দিকে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এসময় সেখানকার চিকিৎসক জানান স্ট্রোকের কারণে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
আরবি/