চালানের কয়েকটি পণ্যের নামে উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তরের ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট থাকলেও কাস্টমসের কায়িক পরীক্ষায় এসব পণ্যে ভিন্নতর পণ্য পাওয়ায় তা আটক করা হয়। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে ৩টি মামলা দায়ের করলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
গত ১৮ মে বাহরাইন ও ২১ মে সৌদি আরবে রপ্তানিকালে ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট বহির্ভূত আলু ও লিচু আটক করে মামলা দায়ের করেছিল কাস্টমস। ২৩ মে সৌদি আরবে রপ্তানিকালে অনুমোদিত ২ হাজার কেজি সবজি ও ফলের আড়ালে মানহীন ১০০ কেজি চিচিংগা পাওয়া যায়। অভিযুক্ত রপ্তানিকারক: আল হোসেন ইন্টারন্যাশনাল এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট: এক্সেলসিয়র কার্গো এজেন্সি।
সম্প্রতি ইউরোপসহ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত শাক-সবজি ও ফলের গুণগত মান এবং ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট বহির্ভূত পণ্য রপ্তানির অভিযোগ করে। অসাধু রপ্তানিকারকদের প্রতারণা ও অতিমুনাফার লোভের কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি শাক-সবজি ও ফল-মূল রপ্তানির সম্ভাবনাময় বাজার ঝুঁকির সম্মুখীন।
দ্রুততর রপ্তানির স্বার্থে সাধারণত কাস্টমস কর্তৃক ১০ শতাংশ পর্যন্ত রপ্তানি পণ্য কায়িক পরীক্ষার বিধান রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রপ্তানি বাজার ও দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় ঢাকা কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ শাক-সবজি ও ফল-মূল রপ্তানি চালান সর্বোচ্চ কায়িক পরীক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার (রপ্তানি) মো. আল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, বিদেশে রপ্তানিকৃত পণ্যে কাস্টমস হাউস বর্তমানে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করছে। এর আগে বিদেশে রপ্তানিকৃত শাক-সবজি কাস্টমস হাউস মাত্র ১০ শতাংশ পরীক্ষা করতো। কিন্তু সম্প্রতি ইউরোপসহ কয়েকটি দেশ রপ্তানিকৃত পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কাস্টমস রপ্তানি পণ্যের ওপর শতভাগ নজরদারি বাড়িয়েছে। যা ভবিষ্যতেও বলবৎ থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
এসজে/এমজেএফ