বুধবার (২৪ মে) দুপুরে রাজশাহীর একটি আবাসিক হোটেলের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান সংগঠন দুটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন- রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও রাজশাহী নাগরিক সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই সোনাদিঘী প্রায় একশ’ বছর আগে রাজশাহীর মানুষের সুপেয় পানির সংস্থানের জন্য খনন করা হয়েছিল। সোনাদিঘী রাজশাহীর ইতিহাস ঐতিহ্যকে লালন করে। সোনাদিঘী রাজশাহীর পরিচয় বহন করে। কিন্তু সেই দিঘী ভরাট করে একটি অংশে অবৈধভাবে নির্মিত হচ্ছে বহুতল ভবন, চারিদিকে চলছে দখলের মহোৎসব। দিঘীর পানিকে নর্দমার পচা পানিতে পরিণত করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভরাট করে দখলের পাঁয়তারা চলছে। সোনাদিঘী এখন প্রায় মৃত।
আরও বলা হয়, সোনাদিঘীর পশ্চিম পাড়ে এনা প্রপার্টিজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ষোলতলা সিটি সেন্টার ভবন নির্মাণ করছে। এ ভবনটি নির্মাণের অনুমোদনের জন্য রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন ২০১০ সালে। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ শর্তসাপেক্ষে ভবনটি নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন দেন ২০১৩ সালের ১৩ এপ্রিল। তবে সোনাদিঘীর পাড় ও মূল দিঘী ভরাট করে ভবন নির্মাণের কোনো অনুমতি রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দেয়নি।
অথচ ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে এনা প্রপার্টিজ ধীরে ধীরে সোনাদিঘী ভরাট করে ফেলছে। তাই, সোনাদিঘীর পাড় এবং সোনাদিঘী ভরাট করে যে সকল অনুমোদন বিহীন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে তা অবিলম্বে অপসারণ ও ভেঙে ফেলে সোনাদিঘীকে দখলমুক্ত করতে হবে। না হলে নগরাবসীকে সঙ্গে নিয়ে শিগগিরই দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/এমজেএফ