বুধবার (২৪ মে) দুপুরে ফেরিঘাটের দক্ষিণ পাশের চালতাতলী বিদ্যালয় এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বাবর চাঁদপুর শহরের বকুলতলা এলাকার তাফাজ্জল হোসেনের ছেলে এবং চাঁদপুর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।
পুলিশ জানায়, ১৬ মে (মঙ্গলবার) রাতে সুন্দরবন-৬ নামে একটি লঞ্চ ঝড়ের কবলে পড়ে। এসময় লঞ্চের যাত্রী কলেজ ছাত্র মোজাম্মেল আতঙ্কে ওই লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এসময় সহপাঠীরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পরে এ বিষয়ে বাবরের বাবা চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
বাবরের বাবা তাফাজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বাবর, দিপু, শুভ, নাজমুল ও তানভির চাঁদপুর থেকে ভ্রমণের জন্য কুয়াকাটার উদ্দেশে রওনা হয়। ১৬ মে (মঙ্গলবার) কুয়াকাটা থেকে সুন্দরবন-৬ নামে লঞ্চটি হরিণা ফেরিঘাটে গেলে ঝড়ের কবলে পড়ে। লঞ্চে থাকা চার বন্ধুর মধ্যে বাবর প্রচণ্ড ঝড় দেখে লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দেয়। ১৭ মে (বুধবার) ভোরে বাবরের বন্ধুরা জানায় সে ঝড়ের ভয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ ঘটনায় নিখোঁজ বাবরের সন্ধানে নৌ পুলিশ ওইদিন হরিণা ও আশপাশের এলাকায় মাইকিং করেও সন্ধান পায়নি।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উল্যাহ ওলি বাংলানিউজকে জানান, বুধবার দুপুরে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মরদেহ পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
তিনি আরও জানান, বিকেল ৪টার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
আরবি/