বুধবার (২৪ মে) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম সাদিকুর রহমানের মাধ্যমে কলাপাড়া মহিলা ক্লাবের সভাপতি মোসাম্মৎ রোজিনা আখতার বানু নির্যাতিত ওই শিক্ষার্থীকে নগদ ২২ হাজার ৫শ’ টাকা হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার, মহিলা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুরাইয়া নাসরিন, নারী নেত্রী নমিতা দত্ত, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, শিক্ষক শায়লা পারভিন ও তামান্নার মা আয়ফুল বেগম প্রমুখ।
কলাপাড়ার খেপুপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মংগলসুখ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং মহিলা ক্লাবসহ নারী নেত্রীদের সংগৃহীত অর্থ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষেই নির্যাতিত তামান্নার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মেহেরপুর গ্রামের প্যারালাইসিসে আক্রান্ত পিতা আলাউদ্দিন চিকিৎসার নামে গত ৮ এপ্রিল এবং ১৪ এপ্রিল ভণ্ড ফকির নুরুজ্জামান পরিবারের সবাইকে অচেতন করে ওই শিক্ষার্থীর (তামান্না) ওপর নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় নির্যাতিতা বাদী হয়ে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, ভণ্ড ফকির নুরুজ্জামানের মাধ্যমে অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় গত ১৭ এপ্রিল মামলা দায়েরের সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে ডালবুগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। অধিক গুরুত্ব দিয়ে মামলার চার্জশিট প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
এমএস/এসআরএস/এমজেএফ