বৃহস্পতিবার (২৫ মে) জাইকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তারা জানতে চেয়েছে এখানে আত্মহুতি দেওয়া জাপানি নাগরিকদের পরিবার সম্পর্কে আমরা কী কী উদ্যোগ নিয়েছি। ঘটনার তদন্ত ও বিচার সম্পর্কেও তারা জানতে চেয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জাইকার ৫ সদস্যর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে উপস্থিত বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে।
সাক্ষাৎ শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বলেছি, রংপুরে নিহত কুনিও হোসি হত্যা মামলার রায় হয়ে গেছে, ডেথ রেফারেন্স হয়ে গেছে। গুলশানের ঘটনায় এরইমধ্যে তদন্তর কাজ শেষ হয়েছে। যে কোন দিন চার্জশিট দেওয়া হবে। আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সময় মতোই বিচার কাজ শেষ হবে। তারা বলেছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন বিচার হয়। সঠিক বিচারই যেন হয়।
আসাদুজ্জান খাঁন কামাল আরও বলেন, জাপান মনে করে জাইকার যেসব প্রকল্প বাংলাদেশে চলমান আছে তা অব্যাহত থাকবে। সিকিউরিটির ক্ষেত্রে আমরা যেসব মেজর ইনিশিয়েটিভ নিয়েছি তাতে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেনো অব্যাহত থাকে। আমরা তাদের বলেছি, তোমাদের যদি কোন বিশেষ পরামর্শ বা চাওয়া থাকে তা বলতে পারো। আমরা সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেবো। তারা এ বিষয়ে কিছু বলতে চায়নি। তারা বলেছে, ‘আমরা দেখেছি তোমরা সুন্দর সিকিউরিটির ব্যবস্থা নিয়েছো। এই ব্যবস্থা যেনো কন্টিনিয়্যু থাকে’।
আমরা স্পেশালি তাদের বলেছি, বিশেষ করে জাইকার প্রজেক্টকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। জাইকাকে ফোকাল পয়েন্ট করে আমরা একজন অ্যাডিশনাল আইজিপির নেতৃত্বে একটি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। তোমারা যদি বাড়তি কিছু চাও বা তোমরা যদি মনে করো তোমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো বাড়ানো উচিত, তবে তোমাদের জন্য আমরা সে ব্যবস্থা নেবো, যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তারা (জাইকা) বলে গিয়েছে, তারা সন্তষ্ট। জাপান এবং বাংলাদেশের যে সম্পর্ক তা দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপান সব সময় পাশে থাকবে। তারা এ জন্য কোন শর্ত বা পরামর্শ দেয়নি। আমরা তাদের জানিয়েছি আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিদেশে প্রশিক্ষণ দিয়ে এনেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
আরএম/এমজেএফ