বৃহস্পতিবার (২৫ মে) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন দাবি করেন।
আদনান হারুন বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যা হচ্ছে, এর ফলে আজকে আমার প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের মুখে।
‘আমাদের চেয়ে বড় ভিকটিম আর কে। আমাদের মানবাধিকারের কি হবে?’ বলেন তিনি।
মানবাধিকার কমিশনের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা জানতে চেয়েছে, সেদিন রাতে কোনো হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন (মানবাধিকার লঙ্ঘন) হয়েছে কি না। আমরা তাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যদি এঘটনায় কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে থাকে তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, কড়া বিচার চাই- বলেন আদনান হারুন।
সেই রাতের পর হোটেল থেকে একটি টাওয়াল হারিয়ে গেছে, কয়েকজন কর্মীও হোটেলের চাকরি ছেড়ে চলে গেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকে ভয়ে ও সামাজিক কারণে চাকরি ছেড়ে চলে গেছে। কতজন গেছে এটা বলতে পারছি না।
আর টাওয়ালের বিষয়টা হোটেলের অপারেশনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা স্পষ্ট বলতে পারবে, এটি আমার জানার কথা না।
এর আগে বিকেল সোয়া চারটার দিকে বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বি এ এইচ আদনান হারুন এবং রেইন ট্রি’র মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ফ্রাঙ্ক ফরগেজসহ মোট সাতজন কারওয়ান বাজারস্থ কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হন।
গত ২৩ মে ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে আরো বিস্তারিত জানতে দ্য রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদনান হারুন, জেনারেল ম্যানেজার ফ্রাংক ফরগেজ, গুলশান জোনের ডিসি মোশতাক আহমেদ ও বনানী থানার ওসি ফরমান আলীকে তলব করে মানবাধিকার কমিশনের গঠিত তদন্ত কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
পিএম/এসএইচ