ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৩ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

মোটর শ্রমিক নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাইয়ে মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
মোটর শ্রমিক নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাইয়ে মামলা

রাজশাহী: রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র  করে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, গুলি, বোমা বিস্ফোণ ও ব্যাটলট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে বোয়ালিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, এই ঘটনায় থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।

একটি মামলার বাদী হয়েছেন হামলার শিকার নির্বাচন কমিশনার অঙ্কুর সেন। অন্যটির বাদী পুলিশ। অঙ্কুরের মামলায় তার ওপর হামলা এবং পুলিশের মামলায় সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুটি মামলায় অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

ওসি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শ্রমিকদের দু’পক্ষে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় গুলি ও বোমা বিস্ফোরণে মহানগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সংঘর্ষের সময় তিন নির্বাচন কমিশনারসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয় এক সাংবাদিকের ক্যামেরা ও মোবাইলফোন। ছিনতাই করা হয়েছে ব্যালট পেপার।
ভোররাতের ওই ঘটনায় কয়েক রাউন্ড গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় কয়েকটি হাত বোমারও। পরে পুলিশ ফাঁকাগুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন খান বলেন, গত বুধবার (২৪ মে) সকাল থেকে বাস টার্মিনালে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ হয়। জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীন ভাবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১০টি পদে ৬০ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪৯৫ জন।
 
রাতে ভোট গণনা শুরুর আগেই শ্রমিকদের একটি পক্ষ কেন্দ্রে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় অপরপক্ষ বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অঙ্কুর সেনসহ তিন কমিশনার আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে তিন নির্বাচন কমিশনারকে উদ্ধার করেন।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যালট পেপার বাছাই শেষ হয় ভোর ৪টার দিকে। বাছাইয়ের পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কারা নির্বাচিত হচ্ছেন তা অনেকটাই নিশ্চিত হন প্রার্থীরা। বাছাই শেষে ভোট গণনা শুরু হলে এক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা সেখানে হামলা চালিয়ে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এসএস/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।