শুক্রবারও (২৬ মে) তিক্ততা নিয়ে বাইরে বেরিয়েছেন এ জনপদের মানুষ। জীবন যেখানে হাঁসফাঁস করছে, সেখানে ঝড়ও মানুষের চাওয়ার বিষয় হতে পারে সেটাও জানা গেলো রাস্তায় বেরিয়ে।
গন্তব্য আজ পার্বতীপুর। তাই ফুলবাড়ী থেকে বাসের টিকিট নিয়ে যাত্রা শুরু হলো অন্যদের মতোই কিছুটা খোশ মেজাজে। কেননা, বাস ছাড়ার পরপরই আকাশে তখন মেঘের ঘনঘটা। তবে ভ্যাপসা গরমটা কোনোভাবেই যেন কাটছে না।
প্রায় ঘণ্টাখানেক চলার পর শুরু হলো বাতাস। বাসের সহযাত্রীদের মুখেও তাই প্রশান্তির ছাপ। পাশের সিটের বসা স্কুল শিক্ষক মামুনুর রহমান বললেন, ঝড় হোক! আর সহ্য হয় না এ রকম।
পেছনের সিটের দুই মুন্সিকে দেখে বোঝা গেলো ধর্মকর্ম তাদের ভালই হয়। তাদের প্রাসঙ্গিক কথোপকথনে বাগড়া দিল এ বাতাস আর মেঘ। আকাশের কালচে মেঘ আর দিনের আলোর বিচ্ছুরণে কী যে মায়াবি এক রঙ ছড়িয়ে যাচ্ছে, তা ধরা দিল তাদের চোখেও।
হাফিজুর রহমান নামে সম্প্রতি ফাজিল পাশ করা ভদ্রলোক বলে ওঠলেন তার সাথীকে উদ্দেশ্য করে-আহ কী সুন্দর বাতাস। আর আকাশটাও কী সুন্দর। এটাই প্রশান্তির আকাশ। কী মায়াময় দৃ্শ্য! সাথীও আনন্দের সঙ্গে-হ্যাঁ বললেন।
তাদের আলাপের ফাঁকে দুটো গরু ছুটে আসছিলো ধান ক্ষেত থেকে। এতেই বোদ্ধাযাত্রীরা বুঝে গেলেন, ওদিকটায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মিনিট খানেকের মধ্যে বৃষ্টির প্রবল ঝাপটায় বাসের জানালা বন্ধ করতে হলো আমাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
ইইউডি/বিএস