ভ্যানে করে ডাব বিক্রির মতোই এ মৌসুমে শহর ও গ্রামাঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। এতে করে যেমন নিম্ন আয়ের মানুষের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ হচ্ছে, তেমনি সাধারণ মানুষ মধুমাসের ফলের স্বাদ পাচ্ছে।
মান্নান নামে একজন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবছর মধুমাসে বরিশাল নগরের বিভিন্ন এলকায় ঘুড়ে পানি-তালের শাঁস বিক্রি করেন তিনি। সব শ্রেণির মানুষই তার ক্রেতা। তবে, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও মানুষের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে তাল গাছের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এতে করে বেশি দামেই পানি-তাল কিনতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। আর বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।
চলতি মৌসুমে বরিশাল জেলার গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলাসহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে তালের ফলন কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন জুয়েল নামে এক বিক্রেতা।
বরিশাল-শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. দাশ রনবীর বাংলানিউজকে জানান, মৌসুমী ফলের মধ্যে পানি তালের শাঁসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনসহ নানান উপাদান রয়েছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে, প্রচণ্ড গরমে বেশি না খাওয়াই ভালো। বেশি তালের শাঁস খেলে পেটে ব্যাথা ও পাতলা পায়খানা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মিলন হাওলাদার জানান, তাপপ্রবাহের কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি হচ্ছে না। পাশাপাশি এ সময়ে বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এ তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই বলেও জানান মিলন হাওলাদার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
এমএস/ওএইচ/