শুক্রবার (২৬ মে) দুপুর আড়াইটা থেকে ১৫ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীরা নিহতের পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া, মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকে বিশমাইল গেট পর্যন্ত স্পিড ব্রেকার স্থাপন, প্রধান ফটকের সামনে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ, দূরপাল্লা গাড়ির জন্য নির্দিষ্ট গতি ঠিক করা, লোকাল বাসের বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থামার ব্যবস্থা করা, প্রান্তিক গেটে ওভারব্রিজ স্থাপনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের দাবি পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমলে নিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ উঠিয়ে নেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন বলেন, পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এডিশনাল এসপি আমাদের জানিয়েছে মীর মশাররফ হোসেন সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকে বিশমাইল গেট পর্যন্ত দু’টি স্পিড ব্রেকার স্থাপন করবেন। এই রোডে সিসি ক্যামেরা লাগাবেন, পুলিশ ফাঁড়ির ব্যবস্থা করবেন। একইসঙ্গে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে শাস্তি এবং মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিবৃতির মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার (২৬ মে) ভোর ৫টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনী হলের মার্কেটিং বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান রানা ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরাফাত নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭/আপডেটেড: ১৭৩৩ ঘণ্টা
জেআর/আরআর/জেডএস/এসএইচ