সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তারা থানায় রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার জামলই গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে আবদুল্লাহ আল কাফি (২৮), পূর্ব দৌলতপুর গ্রামের আলেফ উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (২২) এবং দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২৪)।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভুঁইয়া বাংলানিউজকে জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মোস্তাফিজ ও কাফির বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে চারঘাট থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে। ওই মামলায় দুপুরের মধ্যেই তাদের আদালতে পাঠানো হবে। এছাড়া তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদনও জানানো হবে।
জানতে চাইলে ওসি বলেন, এদের মধ্যে কাফি নাটোরের এনএস কলেজ, সোহেল রাজশাহী কলেজ এবং মোস্তাফিজুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
বর্তমানে তাদের ব্যাপারে আরও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তবে গ্রেফতারকৃতরা নিজেদের ছাত্রশিবিরের নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। কাফি নিজেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের পুঠিয়া উপজেলা শাখার সেক্রেটারি, সোহেল রানা ক্যাশিয়ার ও মোস্তাফিজুর প্রচার সম্পাদক বলে দাবি করেছেন।
তবে তারা নব্য জেএমবির সদস্য বলে ঢাকা থেকে তথ্য এসেছে। নব্য জেএমবির এই তিন সদস্য বানেশ্বর বাজারের ‘ফারুক ছাত্রাবাসে’ দীর্ঘদিন ধরেই থাকতেন এবং সেখান থেকে নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালাতেন। বেশ কিছুদিন আগে পুঠিয়ায় এক জেএমবি সদস্যের বাড়িতে বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণের ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলাতেও তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানান পুঠিয়া থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
এসএস/আরআর