ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উৎসবের সাজে রাজশাহী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উৎসবের সাজে রাজশাহী প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উৎসবের সাজে রাজশাহী, ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে রাজশাহীজুড়ে যেন উৎসবের রঙ লেগেছে। প্রধান প্রধান সড়কের প্রবেশমুখে শোভা পাচ্ছে সুবিশাল তোরন। উঁচু স্থানে টাঙানো হয়েছে বিলবোর্ড। সড়কের মোড়গুলো ফেস্টুনে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

আর সড়ক মোহনাগুলো সেজেছে রঙে-বেরঙের পতাকায়। এর মধ্যে পতপত করে উড়ছে লাল-সবুজে তারকা খচিত দলীয় পতাকাও।


তিন বছর পর একদিনের সফরে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহী আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ মুহূর্তের এ জনসভাকে ঘিরেই যেন নির্বাচনী বৈতরণী পার কারতে চায় আওয়ামী লীগ। তাই এ প্রস্তুতির যেন কোনো শেষ নেই।

বিকেলেই আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে মহ‍ানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার মিছিল বের করছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা অংশ নিচ্ছেন সেই মিছিলে। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উৎসবের সাজে রাজশাহী, ছবি: বাংলানিউজ ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘নেত্রী আছে রে আছে- কোনো সেই নেত্রী শেখ হাসিনা’ ইত্যাদি কোরাস, স্লোগান আর নিনাদ প্রতিধ্বণিত করছে প্রতিটি পাড়া-মহল্লার অলিগলি।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ বাংলানিউজকে বলেন, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহী সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মধ্যে ছয়টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১৭টির ভিত্তিপস্তর স্থাপন করবেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। সফর সূচিনুযায়ী ওইদিন প্রধানমন্ত্রী প্রথমে রাজশাহীর সরদহে থাকা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে শিক্ষানবীশ সহকারী পুলিশ সুপারদের শিক্ষা সমপানী কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন এবং অভিবাদন গ্রহণ করবেন। বিকেলে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।

রাজশাহীর সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বাংলানিউজকে বলেন, সামনে সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এরপরই সংসদ নির্বাচন। তাই ১৪ সেপ্টেম্বরের জনসভাকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবেই দেখছেন নেতাকর্মীরা। এই জনসভা থেকেই দেশনেত্রী আগামী দিনের দিক নির্দেশনা দেবেন বলে জানান এ আওয়ামী লীগ নেতা।
এদিকে রাজশাহী চেম্বর অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি বাংলানিউজকে বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে উত্তরের প্রাণকেন্দ্র রাজশাহী সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অঞ্চল। এখানে প্রচুর উদ্যোক্তা আছে কিন্তু বিনিয়োগ নেই। কাজেই রাজশাহীতে শিল্পায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ জরুরি। এজন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জনসভায় ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হবে।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাজশাহীতে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক অতিদ্রুত সহজ শর্তে ও সাশ্রয়ী মূল্যে শিল্পে গ্যাস সংযোগ দেওয়া, হাটিকুমরুল থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়ক চার লেনে উন্নীত করা, রাজশাহী-কলকাতা রুটে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ট্রেন চালু, রাজশাহী বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস হাউস স্থাপন করে আন্তর্জাতিকমানের বিমানবন্দরে উন্নীত করা, কম্পোজিট টেক্সটাইল, প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উৎসবের সাজে রাজশাহী, ছবি: বাংলানিউজগার্মেন্টস, চামড়া, বহুমুখী পাটজাত পণ্যসহ এমন শিল্পগুলোর জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ, ব্যাংক সুদের হার ৫ শতাংশ নির্ধারণ, রিসোর্ট ও পাঁচ তারকা হোটেলের জন্য পদ্মার পাড়ে ১৫ একর খাস জমিসহ ২০ বছর মেয়াদে ৫ শতাংশ সুদে ২শ’ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ এবং নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বিনা জামানতে ভাগ সুদে ১শ’ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
এসএস/এএটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।