ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাজশাহীর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৮ দফা দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭
রাজশাহীর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৮ দফা দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রাজশাহী: রাজশাহীর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৮ দফা দাবি উপস্থাপন করবে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহীতে আগমন উপলক্ষে এসব দাবিনামা তৈরি করা হয়েছে। এসব দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক হবে বলেও নেতারা আশা প্রকাশ করেন।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

তাদের উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাজশাহীর উন্নয়নে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও শিল্প-কারখানায় গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করা, নগরীর আবেদনকারীদের বাসা-বাড়িতে গ্যাসের সংযোগ স্থাপন, গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণ প্রকল্প পুনঃ বিবেচনায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া, উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন, সিএনজি স্টেশন স্থাপন অন্যতম।

এছাড়া রাজশাহীর উন্নয়নে ১৮ দফার অন্য গুলো হলো- রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিস ছাড়াও রাজশাহী থেকে চট্রগ্রাম সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু, আব্দুলপুর-রাজশাহী-রহনপুর ডুয়েল গেজ রেল লাইন নির্মাণ, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন, ভুখণ্ড রক্ষায় স্থায়ী নদী তীর প্রতিরক্ষা, কৃষি ভিত্তিক ইপিজেড প্রতিষ্ঠা, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, নতুন করে নগরীর একাধিক মাধ্যমিক স্কুল সরকারিকরণ, ক্রিকেট টেস্ট ভেন্যু স্থাপন, পদ্মা নদীর চরে সরকারিভাবে অর্থনৈতিক জোন স্থাপন, আম-টমেটোসহ অন্যান্য ফল সংরক্ষণে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন এবং নারী শিল্পোদ্যোক্তাদের বিশেষ ঋণ সহায়তার দাবি রয়েছে। এছাড়া চাঁপাইনবাগঞ্জের সঙ্গে রাজশাহীর নীবিড় যোগাযোগ স্থাপনের জন্য একটি শাটল ট্রেনেরও দাবি করেন বক্তারা।  

এছাড়া রাজশাহীর পদ্মা নদীর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীপথে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থার দাবির কথাও উল্লেখ করেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।

রাজশাহীর উন্নয়নে এসব বিষষ বাস্তবায়নের দাবি করে জামাত খান বলেন, রাজশাহী জেলার দক্ষিণ-পূর্ব পাশ ঘেঁষে পদ্মানদী প্রায় ৭০ কিমি দৈর্ঘ্যে বিস্তৃত। কৃষি ভিত্তিক উত্তরাঞ্চলের মানুষ পানির বড়ই কষ্টে আছে।  

ভূ-উপরিস্থিত পানির ব্যবহার ছাড়া বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষি বিপ্লব ও এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়। অতিমাত্রায় ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহারের ফলে ভূমিধ্বস ও জলবায়ু বিরূপ প্রভাবসহ পরিবেশ মারাত্মকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে এর মাশুল দিতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭
এসএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।