মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার আড়ানি ইউনিয়ন ও বাউসা ইউনিয়নের ওপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ের সময় বাঘার আড়ানি ইউনিয়নের গোচর এলাকায় ছাদের আলী (৫৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
আড়ানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, আকষ্মিক ঝড়ে তার এলাকার ৬টি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। রাস্তায় গাছপালা ভেঙে যাওয়ার কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর এখন সরকারি সহায়তা দরকার।
বাঘার বাউসা ইউনিয়ের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরছিল। কিন্তু দুপুর দেড়টার দিকে আকষ্মিকভাবে ঝড় বয়ে যায়। উপজেলায় আড়ানি ইউনিয়নের হরিপুর, বেড়েরবাড়ি, ঝিনা, নুরনগর, গোচর ও খয়েরমিল এবং বাউসা ইউনিয়নের-দিঘা ও খাগরবাড়িয়ার ওপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়।
শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ঝড়ে প্রায় ২শ’ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জমির ফসলসহ অসংখ্য গাছপালা।
তবে ঝড়ের পর বাঘা উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত আড়ানি ও বাউসা ইউনিয়ন মিলে প্রায় ৩০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। শিগগিরই তাদের ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/