ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

গোদাগাড়ীতে তরল রাসায়নিক পানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
গোদাগাড়ীতে তরল রাসায়নিক পানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩

রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের ডাইংপাড়া চব্বিশনগর গ্রামে বিষাক্ত তরল রাসায়নিক পদার্থ পান করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ওই গ্রামের সিরাজুলের ছেলে দুলাল হোসেন (৩২) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়।  

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে একই ঘটনায় ওই গ্রামের মৃত তোফিজুল ইসলামের ছেলে বকুল হোসেন (৩৮) ও ইউসুফ আলীর ছেলে তোহিজুল ইসলামের (২৫) মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে বর্তমানে আরও চারজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরা হলেন- উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের ডাইংপাড়া চব্বিশনগর গ্রামের মৃত ইনসান আলী ছেলে টুলু (৪০), জিল্লুর রহমানের ছেলে পারভেজ হোসেন (২৭), মুকুল হোসেনের ছেলে মোশারফ হোসেন (২৭), জবেদ হোসেনের ছেলে জাভেদ হোসেন (২৫)। তাদের অবস্থা এখনও আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিছেন চিকিৎসকরা।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি বাংলানিউজকে জানান, রাজশাহী মহানগরীর সপুরায় ‘টিম’ নামের একটি ওষুধের কারখানার আট শ্রমিক গত মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) কাজে গিয়ে সেখানে একটি ড্রামে থাকা একটি রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে রুটি খান। এ সময় ভালো লাগায় একজন ওই পদার্থটি বোতলে ভরে গ্রামেও নিয়ে যান। এরপর রাতে তিনি গ্রামের আরও চার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে কোমল পানীয়র সঙ্গে মিশিয়ে রাসায়নিকটি পান করেন।  

বুধবার (১১ অক্টোবর) রাত থেকে তারা একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ভোরে তাদের রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দুই জনকে মৃত ঘোষণা করেন। এদের মধ্যে দুপুরে আরও একজনের মৃত্যু হয়।

গোদাগাড়ীর রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলু বাংলানিউজকে জানান, এই ঘটনায় গ্রামের সাতজন অসুস্থ হয়ে রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে তিনি চব্বিশনগর ডাইংপাড়া গ্রামে গেছেন। সেখান থেকে তিনি একটি বোতল জব্দ করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। গন্ধ শুকে তার কাছে মনে হয়েছে, ওই বোতলে রেকটিফায়েড স্পিরিট ছিল।

তবে বিষয়টি নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন গোদাগাড়ীর ওসি হিপজুর আলম মুন্সি। তিনি বলেন, রাসায়নিক পদার্থটি লালি গুড়ের মতো। গুড় ভেবেই তারা সেটি কারখানায় রুটির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়েছিলেন। তবে গ্রামে নেওয়ার পর তা আবার কোমল পানীয়র সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া হয়।

ওই রাসায়নিক পদার্থ আসলে কি তা তারা ওষুধের কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছেন।  

এছাড়া মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে মৃত দুই ব্যক্তির মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। এই ব্যাপারে দুপুরে থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এসএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।