বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছায় জুনেদ আহমেদের পরিবারের ৫ সদস্যের মরদেহ। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশবাহী গাড়ি কমলগঞ্জের কান্দিগাঁওস্থ গ্রামের বাড়ির দিকে রওয়ানা হয়েছে।
নিহত জুনেদ আহমেদের স্ত্রীর ভাই মো. জাকারিয়া বাংলানিউজকে জানান, কুয়েতের সালমিয়াতে দু’টি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাড়িতে লাশ আসার পর কমলগঞ্জের সফাত আলী সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় রাত সাড়ে আটটায় জানাজার পর কান্দিগাঁও পঞ্চায়েতি কবরস্থানে তাদের দাফন করা হবে।
ইতিমধ্যে পাঁচ জনের কবর খোঁড়া সম্পন্ন হয়েছে। মায়ের কবরের পাশে বড় মেয়ে এবং ভাইদের পাশে ছোট মেয়েকে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, কমলগঞ্জ উপজেলার ৫নং কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের জুনেদ আহমেদ, স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৩৪), বড় মেয়ে জামিলা আহমেদ (১৫), বড় ছেলে ফাহাদ আহমেদ (১২), ছোট ছেলে ইমাদ আহমেদ (৯) ও ছোট মেয়ে নাবিলা আহমেদকে (৫) নিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কুয়েতে বসবাস করতেন।
কুয়েতে এসি বিস্ফোরিত হয়ে তাদের বাসভবনে আগুন ধরে যায়। এ সময় ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় পুরো পরিবারের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
আরআই