বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. গিয়াস উদ্দিন (৩৪) ও মো. লিটন (৩৪)।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাকিল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গিয়াস উদ্দিন ২০০০ সাল থেকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে রিকশা চালায় এবং বাবুর্চির কাজ করে। ২০১২ সালের মাঝামাঝি জসিম উদ্দিন রাহমানির বাবুর্চি হিসেবে কাজ শুরু করে গিয়াস। এ সময় সে জসিম উদ্দিন রাহমানির উগ্রবাদী বক্তব্য শোনার মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়।
পরবর্তীতে জসিম উদ্দিন রাহমানি গ্রেফতার হওয়ার পর কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে ২০১৫ সাল থেকে ঢাকার নন্দীপাড়াস্থ কোরআন সুন্নাহ একাডেমি মসজিদে যাতায়াত শুরু করে। ওই মসজিদের ইমাম ও খতিব শায়েখ আরিফ হোসেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে।
পরে আরিফ হোসেনের মাধ্যমে সে জেএমবির দাওয়াত প্রাপ্ত হয়ে জেএমবিতে (সারোয়ার-তামীম গ্রুপ) যোগদানের পর দাওয়াতী কাজ শুরু করে। সে পরবর্তীতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রিকশা চালাতো এবং মাঝে মাঝে ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে বাবুর্চির কাজও করতো। এ সব কাজের অন্তরালে সে জেএমবির দাওয়াতী কাজ করে আসছিলো।
অপরদিকে লিটন ২০০৫ সালে ঢাকায় এসে প্রথমে নাইট গার্ড এবং পরবর্তীতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে। সে ২০১২ সালে জসিম উদ্দিন রাহমানির মসজিদে যাতায়াত শুরু করে এবং জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়। ২০১৩ সালে জনৈক মুনতাসিরের সঙ্গে তার আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে ২০১৫ সালে মুনতাসিরের মাধ্যমে জেএমবির দাওয়াত প্রাপ্ত হয়ে জেএমবিতে (সারোয়ার-তামীম গ্রুপ) যোগদান করে দাওয়াতী কাজ শুরু করে। সে ছদ্মবেশ ধারন করতো। ঘন ঘন পেশা ও বাসস্থান পরিবর্তন করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় জেএমবির দাওয়াতী কাজ করে আসছিলো বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
জিপি