বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজের কনভেনশন হলে আয়োজিত 'আইজিপি মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড-২০১৭' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, পুলিশ শুধু স্বাধীনতার যুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ায়নি, বর্তমানে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
পুলিশ জনশৃঙ্খলা বিধানে বদ্ধপরিকর, আর পুলিশের ভূমিকা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয় গণমাধ্যম। গণমাধ্যমে পরিবেশিত বিভিন্ন সংবাদ আমাদের সমাজে নাড়া দেয়।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন এবং জননিরাপত্তা বিধানে পুলিশ বদ্ধপরিকর, সাংবাদিকরাও পুলিশের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। পুলিশ ও মিডিয়ার যুগলবন্দি প্রতিষ্ঠিত করতে আইজিপি মিডিয়া এ্যাওয়ার্ডের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা প্রশংসনীয়।
সমাজের বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যুতি তুলে ধরতে সাংবাদিকরা যে অবিরাম পরিশ্রম করে থাকেন, এমন সম্মাননার ফলে তারা আরো উৎসাহিত হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। আগামীতে এর সুফল দেখা যাবে বলেও জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, একসময় সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালন করতে গেলে পুলিশের টিয়ারশেল খেতে হতো, তাদের লাঠিপেটা খেতে হতো। আর এখন পুলিশ সাংবাদিকদের সম্মানিত করছে।
পুলিশ জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানে কাজ করবে এবং মিডিয়া জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় মিডিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। দেশ-জাতির বিভিন্ন সন্ধিক্ষণে সাংবাদিকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
মিডিয়া এবং পুলিশের কাজের ধারা ও পথ ভিন্ন হলেও লক্ষ্য এক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন, দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
আইজিপি মিডিয়া এ্যাওয়ার্ডে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক এবং ফটো সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে তিনটি পুরস্কার দেওয়ার কথা থাকলেও যোগ্যতার বিবেচনায় ফটো বিভাগে কোন পুরস্কার ঘোষণা করা হয়নি। দৈনিক আমাদের সময়ের সাংবাদিক হাবীব রহমান ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের মাকসুদুন্নবীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যককে একটি ক্রেস্ট, একটি সার্টিফিকেট এবং নগদ এক লাখ টাকা বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন অতিথিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
পিএম/