‘ওয়েজ’ অ্যাপসে বাসের ভাড়ায় কার সার্ভিসে গন্তব্যে যেতে পারবেন যাত্রীরা- এমন তথ্য বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ওয়েজ টেকনোলজিসের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাজ আহমেদ শাহরিয়ার।
তিনি জানান, ওয়েজ অ্যাপসে চালকদের নিবন্ধন চলছে।
উবার, পাঠাও ও স্যামের পর একই ধরনের অ্যাপস্ ‘ওয়েজ’ হলেও এতে প্রথমবারের মতো কার পুলিং শুরু হচ্ছে। দেশের বাইরে ভারতসহ উন্নত বিশ্বের দেশে উবারসহ অন্যান্য রাইড শেয়ারিং অ্যাপসে পুলিং পদ্ধতি চালু আছে।
ঢাকায় কার পুলিং সেবা কেমন হবে- সে ধারণা দিয়ে সাজ বলেন, ‘নির্দিষ্ট রুট ধরে গাড়ি ঘুরতে থাকবে। যে যেখানে যেতে চান, অ্যাপসে রিকোয়েস্ট আসা মাত্র চালক তাকে পিক করে গন্তব্যে পৌঁছে দেবেন। এতে পুলিং পদ্ধতি হওয়ায় একই গাড়িতে অন্য যাত্রীর রিকোয়েস্ট আসবে এবং ওই গাড়িতে আসন অনুসারে তারাও গন্তব্যে যেতে পারবেন।
এটি পরিবেশবান্ধব ও যানজটপ্রবণ ঢাকায় গাড়ির ব্যবহার কমাতে পারে বলেও মনে করছেন সাজ।
তিনি বলেন, ওয়েজ পুলিং-এর মাধ্যমে তিনজন যাত্রী তিনটি কার সার্ভিস ব্যবহার না করে একটি কারে উঠে গন্তব্যে যাবেন। এতে রাস্তায় আরও দু’টি গাড়ি কমবে। এখন বাসে যে ভাড়া দিচ্ছেন, একই ভাড়া হবে। কারণ, একসঙ্গে তিনজনই ভাড়া শেয়ার করবেন এখানে।
সাজ জানান, ওয়েজে ‘অন ডিমান্ড’ ও ‘প্রি বুকিং’ দু’টি পদ্ধতি থাকবে। যাত্রীরা এতে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির সেবা পাবেন।
দেশে প্রথম মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার ধারণা নিয়ে গত বছর যাত্রা শুরু করে শেয়ার এ মোটরসাইকেল (স্যাম)। তারপরই অ্যাপসে ট্যাক্সি সার্ভিস নিয়ে নামে উবার। এরপর রাইড শেয়ারিং শুরু করে পাঠাও। মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস্ শুরু করতে যাচ্ছে উবারও। এর মধ্যে রাইড শেয়ারে কার পুল নিয়ে আসছে ওয়েজ।
যানজটের শহর ঢাকায় অ্যাপস্ভিত্তিক এসব ট্যাক্সি ও রাইড শেয়ারিং সেবা দ্রুত জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে। তবে উবার, পাঠাও ও স্যাম ছাড়া বাকিগুলো এখনো ততোটা পরিচিত নয়। এখনো জনপ্রিয়তা পায়নি বাহন, মুভ, ইজিয়ার ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
এসএ/এএসআর