ফলে বরগুনা সদরসহ তালতলী, বেতাগী ও পাথরঘাটা উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ২০টি গ্রাম, পৌর শহরসহ উপকূলের নিম্নাঞ্চল। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে লবণ পানিতে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি।
জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানির চাপে বরগুনা সদর উপজেলার ডালভাঙা গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে মোল্লার হোড়া, গোলবুনিয়া, মাছখালী ও পোটকাখালী আশ্রয়ন প্রকল্প প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া তালতলী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া, জয়ালভাঙাসহ বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে বেতাগী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। আর এ বাঁধ ভাঙনের কারণে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে এসব এলাকার ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। বরগুনা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও অমাবশ্যার জোয়ারের পানি ৩ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৭৭ মিলি মিটার।
বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল টিটু বাংলানিউজকে জানান, ভাঙা বাঁধগুলো মেরামতের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার ধরনা দিলেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তাই বরগুনার জেলা প্রশাসক ও ইউএনও’র কাছে দাবি থাকবে যাতে দ্রুত এ মানুষগুলোকে রক্ষা করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবদুল হান্নান প্রধান বাংলানিউজকে জানান, বরগুনায় ৯শ’ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ কিলোমিটার বাঁধ এখনো ক্ষতিগস্ত অবস্থায় রয়েছে।
এছাড়া নিম্নচাপের প্রভাবে বরগুনার তালতলী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়াসহ কিছু স্থানে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিগগিরই এসব বাঁধ মেরামত করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
আরবি/আরএ