শুক্রবার সন্ধ্যার পর কয়েকটি ফেরি চললেও রাত দশটা থেকে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। শনিবার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া রুটে।
ঢাকাগামী যাত্রী পাভেল বাংলানিউজকে বলেন,‘ঢাকায় জরুরি কাজ। অথচ যেতে পারছি না। লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরি চলাচল বন্ধ। ভীষণ সমস্যার মধ্যে আছি। ’
বিআইডব্লিউটিসি’র কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানিয়েছে, পদ্মার উত্তালে দুর্ঘটনা এড়াতে বন্ধ রাখা হয়েছে নৌ চলাচল। ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী পরিবহন, যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত গাড়িসহ প্রায় ছয় শতাধিক গাড়ি পদ্মা পার হবার অপেক্ষায় রয়েছে। ট্রাক চালক মো. আব্বাস মিয়া বাংলানিউজকে বলেন,‘গত রাত থেকে ঘাটে আটকে আছি। ফেরি চলছে না। বৃষ্টির থামার লক্ষণ দেখছি না। শুধু গাড়ির মধ্যেই বসে থাকতে হচ্ছে। এছাড়াও ঘাটে খাবারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ’
তিনি আরো বলেন, ‘ঘাটে শত শত গাড়ি দীর্ঘ সময় ধরে আটকে আছে। পর্যাপ্ত টয়লেটের অভাব থাকায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে’।
ঢাকাগামী রোকসানা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে ঘাটে আটকে থেকে চরম সমস্যায় পড়ছি। বিশেষ করে ঘাটে পর্যাপ্ত টয়লেট না থাকায় নারীদের সমস্যা আরো বেড়েছে এই দুর্যোগ মুহুর্তে। ’
লঞ্চ ঘাটের টার্মিনাল পরিদর্শক এবিএস মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে না আসা পর্যন্ত লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে। ’
এ রুটে ১৭টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও শতাধিক স্পিডবোট নিয়মিত চলাচল করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
টিএ