রাস্তাগুলোর মধ্যে হাজী খোরশেদ আলী সরদার রোড ও কমিশনার রোডের অবস্থা নদীর আকার ধারণ করেছে। পানির স্রোত, খরস্রোতা কর্ণফুলি নদীকেও হার মানাবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দু’দিন ধরে টানা বর্ষণের এ অবস্থা প্রকট আকার ধারণ করেছে। কোথাও একটু শুকনো জায়গা নেই। এলাকায় কোনো যানবাহন চলে না। ফলে অফিসগামী মানুষ ও স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীরা বিপাকে পড়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এ জনপদে কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নেই।
শনিবার (২১ অক্টোবর) এ জনপদ ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও কোনো যানবাহন চলে না, এলাকার স্কুল কলেজে পানি ঢুকে পড়ায় কোনো ছাত্র-ছাত্রী আসেনি। মহল্লা ঘরে ঘরে পানি। কেউ কেউ বালতি দিয়ে কেউবা মোটর লাগিয়ে বাড়ির পানি বাইরে বের করার চেষ্টা করছেন।
পূর্ব জুরাইন কমিশনার মোড় এলাকার আলমগীরের বাড়ির বাসিন্দা শাহজাহান এলাকার প্রধান সড়ক কমিশনার রোড দেখিয়ে বলেন, এটি একসময় পাকা রাস্তা ছিল। এখন রাস্তা নেই নদী হয়ে গেছে, জুরাইন নদী। দেখুন না নদীর মতোই দেখা যায়। অন্যরা বলেন, এটি জুরাইনের প্রধান সড়ক নয়, যেন প্রধান খাল। ড্রেনগুলো সব ভরাট হয়ে যাওয়ায় সারাবছরই রাস্তার উপর দিয়ে ময়লা পানি প্রবাহিত হয়।
দুর্গন্ধময় ময়লা পানি দিয়েই যাতায়াত করতে হয় এলাকাবাসীকে। অনেক বাড়িঘরের নীচ তলা সারাবছর পানিতে ডুবে থাকায় পরিত্যক্ত হয়ে গেছে।
হাজি খোরশেদ আলী সরদার রোডের আড়াই কিলোমিটার রাস্তা সারাবছর পানির নীচে থাকলেও দু’দিনের টানা বর্ষণে এলাকার পূর্ব জুরাইন, মুরাদপুর, পাটের বাগ, কুসুমবাগ, মেডিক্যাল রোড, হাজি কালা মিয়া সরদার রোড, দক্ষিণ ধনিয়া, জুরাইন মাদ্রাসা রোড, জিয়া সরণি রোড, শ্যামপুর এলাকা পানির নীচে তলিয়ে গেছে।
মহল্লার দোকানদার রফিকুল ইসলাম জানান, রাস্তার উন্নয়নে বহুদিন ধরেই আশ্বাসের বাণী শুনি। শুনি যে, বক্স কালভার্ট করে উপর দিয়ে রাস্তা হবে, কখনও শুনি ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ রাস্তা বড় করা হবে। কখনও শুনি সেনাবাহিনীকে এ কাজ দেওয়া হয়েছে, কুরবানি ঈদের পর কাজ শুরু হবে। ১ অক্টোবর কাজ শুরু হবে, ১৫ অক্টোবর শুরু হবে, এভাবে দিন গুণি কিন্তু কাজ আর শুরু হয় না। আদৌ কোনো কাজ হবে কিনা তাও জানিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
এমআই/এসএইচ