ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বৃষ্টি আর বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে খাগড়াছড়িবাসী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
বৃষ্টি আর বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে খাগড়াছড়িবাসী বৃষ্টি আর বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে খাগড়াছড়িবাসী, ছবি: অপু দত্ত

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে টানা দুইদিনের বৃষ্টি ও বিদ্যুৎ ভোগান্তির কারণে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। খুব প্রয়োজন ছাড়া তেমন কেউ বের হচ্ছেন না। কাঁচা বাজারে তেমন শাক সবজিও ওঠেনি।

শনিবার (২১ অক্টোবর) অফিস-আদালত বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে সড়কে পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের।

অনেককে বৃষ্টির মধ্যে ভিজে ভিজে বাড়ি যেতে দেখা গেছে। টানা বৃষ্টির কারণে খাগড়াছড়ির চেঙ্গী ও মাঈনী নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে।
 
এদিকে জেলার বিদ্যুৎ সমস্যা নতুন কিছু নয়। ঘর থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালত, হাসপাতাল সবক্ষেত্রে বিদ্যুতের চরম ভোগান্তিতে অতিষ্ট এই জেলার মানুষ। শুক্রবার রাত থেকে অনেকটা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন খাগড়াছড়ি।
 
খাগড়াছড়ির বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ১শ ৫ কিলোমিটার দূরবর্তী হাটহাজারী রিয়েল উপকেন্দ্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সেখানে কোনো যান্ত্রিক ও প্রাকৃতিক গোলযোগ দেখা দিলে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির ১২টি উপজেলায় বিদ্যুৎ সঞ্চলন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। জেলায় বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ লাইনের শত শত খুঁটির মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে লাইনের উপর গাছ কিংবা বজ্রপাতে কোনো সমস্যা হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় না।
 
জেলা সদরের আনন্দ নগর এলাকার রত্না দাশ, শুক্লা দে নোমের গৃহিনীরা বলেন, আমাদের এখানকার বিদ্যুতের যেই অবস্থা তাতে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে কি নেই বোঝা মুশকিল। ঘরের মোটর, ফ্রিজ লো- ভোল্টেজের কারণে কয়েক দফায় নষ্ট হয়ে গেছে। ফ্যান চলা আর না চলার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এখন যেহেতু বৃষ্টি আর বাতাস হচ্ছে খুব সহসাই আসবে বলে মনে হয় না।
 
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক নয়ণ ময় ত্র্র্রিপুরা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালের রোগিরা কি পরিমাণ ভোগান্তিতে; তা বলে বোঝানো যাবে না। পানি উঠছে না, এক্সরে মেশিন চলছে না, জরুরি চিকিৎসা সেবাও দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
 
জেলা শহরের ব্যবসায়ী আবু সালেক, আরিফুল ইসলাম জানান, দোকানে বিদ্যুৎ নেই। স্টাবিলাইজারের যতটুকু চার্জ ছিল তাও শেষ। এখন মোমবাতি জ্বালিয়ে বেচাকেনা করতে হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু জাফর বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ টিকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা ত্রুটি খুঁজে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।