রোববার (২৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বাবুরাইল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বাংলানিউজকে জানান, বুধবার (১৮ অক্টোবর) আবুলকে গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন এই দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে, ১২ অক্টোবর রাতে কাশীপুরের হোসাইনি নগর এলাকার একটি রিকশার গ্যারেজে কুপিয়ে তুহিন হাওলাদার মিল্টন (৪০) ও পারভেজ আহমেদ (৩৫) নামে দুইজনকে হত্যা করা হয়।
পরে নিহত পরিবারগুলোর পক্ষে মামলা না হওয়ায় শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) জোড়া খুনের এজাহারভুক্ত আসামি রাকিবকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে কাশীপুর খিল মার্কেট এলাকা থেকে মামলার ১০ নম্বর আসামি মো. মোজাম্মেল হক রাজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের তথ্য অনুযায়ী আবুলকে গ্রেফতার করা হয় ও তাকেও রিমান্ডে আনা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- এক নম্বর বাবুরাইলের শুক্কুর মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া জয়নাল আবেদীনের ছেলে জাহাঙ্গীর বেপারী (৪০), ১ নম্বর বাবুরাইল তারা মসজিদ এলাকার কাজল মিয়ার ছেলে বাপ্পী (২৮), রবিন (৩০), রকি (২৮), ভূইয়াপাড়া এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে আমান (৩২), বাবুরাইল শেষমাথা এলাকার খোকা মিয়ার ছেলে শহিদ (৩০), বাবুরাইল তারা মসজিদ এলাকার আসলাম (৫০), বাবুরাইল ঋষিপাড়া এলাকার মৃত জাকিরের ছেলে মাহাবুব (৩০), বিএনপি নেতা হাসান আহমেদের ভাতিজা শিপলু (৩০) ও রাসেল (৩৩), বাবুরাইল এলাকার মুক্তা (২৮), পাইকপাড়া জিমখানা ডিমের দোকান এলাকার শরীফ (৩৩), বাবুরাইলের রানা (২৮), বাবুরাইলের কিরণ (৩০), মানিক (৩০), বাবুরাইলের আবদুল মান্নানের ছেলে ফয়সাল (২৬), বন্দর এলাকার রাব্বি (৩০), ১ নম্বর বাবুরাইলের নিলু সরদারের ছেলে সোহাগ (৩২), বাবুরাইল শেষমাথা এলাকার রাকিব (২৭), বাবুরাইল ঋষিপাড়া এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে রাজন (৩০), বাবুরাইল এলাকার রিকশা আবুল (৩৫), একই এলাকার ফরহাদসহ (৫২) অজ্ঞাত আরও ১শ’ থেকে ১২৫ জন।
মামলার আসামিরা সবাই বিএনপি নেতা মজিদ ও হাসান বাহিনীর লোক হিসেবে পরিচিত বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
এসআরএস