সোমবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ফতুল্লার পাগলায় শান্তিনিবাস এলাকা সংলগ্ন বস্তিতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো সাইফুল ইসলামের তিন মেয়ে লামিয়া (১২), লাবনী (৮) ও লিমা (৩)।
তাদের সঙ্গে মারা গেছে দেয়ালের পাশ দিয়ে চলাচল করা পথচারী ফিরোজ মিয়ার ছেলে আলমগীর (৪০)। তবে একই সময় আহত হয়েও বেঁচে গেছে আলমগীরের ভাই শাহ আলম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১২ ফুট দেয়াল ধ্বসের ঘটনায় শ্রমিকরা দেয়ালটি ভাঙার সময় কাউকেই সেখান দিয়ে আসা-যাওয়া করাতে বারণ করেনি। দেয়ালটির সঙ্গে খেলা করছিল ওই তিন শিশু। দেয়াল ভাঙার সময় শিশুদের এখানে খেলা করতে দেখেও শ্রমিকরা তদের সরে যেতে বলেনি। শ্রমিকদের এ অসতর্কতায় কারণেই অকালেই ঝরে গেলো চারটি তাজা প্রাণ।
তিন শিশুর মা মাসুদা বেগম বলেন, আমাদের যদি আগে জানাতো দেয়ার ভাঙবে, তাহলে ছেলে মেয়েদের এদিকের রাস্তায় চলাচলে নিষেধ করতাম। কিন্তু তারা কোনো কথা না বলায়, তিন মেয়েকে হারালাম। তাদের বিচার চাই, আর যেনো কারো মা সন্তান হারা না হয়।
তিন মেয়েকে হারিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে মা মাসুদা বেগমের আর্তনাদে উপস্থিত সবাই স্তব্ধ হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
মেয়েদের হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন বাবা সাইফুল ইসলাম। বার বার তার মেয়ে লামিয়া, লাবনী ও লিমার নাম ডেকে হতবাক চোখে এদিক ওদিক তাকিয়ে থাকেন তিনি।
সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়েদের হত্যাকারীদের বিচার চাই। কেন এমন হবে, আমার সন্তানদের মৃত্যুর জন্য যারাই দায়ী তাদের উপযুক্ত বিচার চাই।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মঈনুল হক ও ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামালউদ্দিন।
** পাগলায় দেয়াল চাপায় ৩ বোনসহ নিহত ৪
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
জিপি