হাসপাতালের রেকর্ড বুকের ঠিকানা মোতাবেক ওই নামে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত তিনদিন বয়সী নবজাতকটিকে সদর হাসপাতালে রেখেই দেখভাল করা হচ্ছে।
শিশুটিকে পরে সিলেট বেবি হোমে পাঠানো হবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু নাঈম মৃধা।
তিনি জানান, বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয় মিলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালে দেয়া নাম ঠিকানা অনুযায়ী কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানও এই নামে কাউকে চিনেন না।
হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বজলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে সে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তার দেখাশোনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাজল মিয়াকে দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কাজল মিয়ার মাধ্যমে পাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে সন্তানসম্ভবা এক নারী সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি নিজের নাম আজিমা খাতুন এবং তিনি জেলার বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী গ্রামের ফয়েজ মিয়ার স্ত্রী বলে হাসপাতালে উল্লেখ করেন। এরপর স্বাভাবিকভাবে তিনি একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। ওইদিন দুপুরে গাইনি ওয়ার্ডে আজিমার পাশের বেডের রোগী বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের সাফিয়া কুলসুমার কোলে বাচ্চা রেখে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে বাইরে যান আজিমা। এর পর দীর্ঘ সময় পার হলেও আজিমা আর না আসায় বেকয়াদায় পড়েন কুলসুমা। সারাদিন অপেক্ষার পরও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে শুক্রবার রাতে কুলসুমা এক নার্সকে বলে শিশুটিকে নিয়ে বাড়ি চলে যান। শনিবার দুপুরে আবার হাসপাতালে এসে শিশুটিকে ভর্তি করে নার্সকে বিষয়টি জানান তিনি। পরে হাসপাতালের সমাজ সেবা অফিস হাসপাতালে শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। হাসপাতালে কুলসুমাও শিশুটির সঙ্গে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
এসআই