হবিগঞ্জের সনাতন ধর্মের লোকজন এই বিশ্বাস থেকে প্রতি বছরের মতো এবারও বিপুল আগ্রহে ভাইফোঁটা উৎসব পালন করছেন।
ভাইফোঁটা কোনো প্রচলিত পূজা-পার্বন না হলেও এটি হচ্ছে সবচেয়ে আনন্দময়, নির্মল, একটি অনুষ্ঠান।
ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় ঈশ্বরের কাছে বোনের আকুতি, ভাইয়ের সাফল্য, দীর্ঘায়ূ লাভের জন্য বোনের প্রার্থনাই ‘ভাইফোঁটা’ কে মহিমান্বিত করেছে।
হবিগঞ্জ শহরের পরিচিত মুখ শখের ছবিয়ালের অ্যাডমিন আশিষ দাস সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতে তার বাসায় আয়োজন করেছিলেন ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানের।
তিনি জানান, ১৯ অক্টোবর ছিল কালীপূজা। সেদিন ছিল অমাবশ্যা। এর পর দিনকে বলে প্রথমা। কালীপূজার দুই দিন পর অর্থাৎ দ্বিতীয়াতে ভাইফোঁটা উৎসব শুরু হয়। চলবে এক সপ্তাহ। ভাইফোঁটার ধর্মীয় গুরুত্ব অপেক্ষা সামাজিক ও পারিবারিক গুরুত্ব অনেক বেশি। এখানে ভাই-বোনের মধ্যেকার প্রীতি ও ভালোবাসার স্বর্গীয় সম্পর্কটিই মূখ্য। ভাই-বোন দু’জনেই বছরের এই একটি দিনের অপেক্ষায় থাকে।
তিনি আরও জানান, ভাইফোঁটা উৎসবে বোনেরা ভাইয়ের দীর্ঘজীবন কামনা করে। তারপর ভাইকে মিষ্টি খাওয়ায়। ভাইও বোনকে কিছু উপহার বা টাকা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ