মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজার ও রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর ইলিশ এলেও সাধারণ ক্রেতা নেই বললেই চলে। যারা কিনতে এসেছেন, তাদের প্রায় সবাই খুচরা বিক্রেতা ও হোটেল-রেস্টুরেন্টের কর্মচারী।
বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশ শিকারে দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞায় বাজারে চাহিদা কম থাকার পাশাপাশি দামও ছিলো বেশি। আবার নিষেধাজ্ঞা শেষের পর সোমবার (২৩ অক্টোবর) প্রথম দিনে আসার কথা থাকলেও কারওয়ানবাজারে কোনো ইলিশ আসেনি। বিভিন্ন মোকাম থেকে মঙ্গলবারই প্রথম ইলিশ এসেছে। আগে বাজারে ও মোকামে ইলিশ না থাকায় বিদেশি ইলিশ বেশি দামে বিক্রি করতে হয়েছে। ক্রেতাদের মধ্যে বেশি দামের সেই ভীতি এখনো রয়ে গেছে।
তবে ইলিশ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। সামনে দাম আরও কমবে। ক্রেতার সংখ্যাও ক্রমশ বাড়বে বলেও আশাবাদী বিক্রেতারা।
কারওয়ানবাজারে কেজিপ্রতি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪৫০ টাকা, ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০ টাকা, ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ টাকা এবং ১ কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজি ওজনের আমদানি করা বার্মার ইলিশের মূল্য প্রতি কেজি ১ হাজার ৬০০ টাকা।
রামপুরা বাজারে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০ টাকা, ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ টাকা এবং ১ কেজির বেশি ওজনের ইলিশ কেজিপ্রতি ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ানবাজারের পাইকারি ইলিশ বিক্রেতা মো. ওসমান বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে প্রচুর ইলিশ। কিন্তু কেনা-বেচা নেই। যারা আছেন তারা বিভিন্ন হোটেল বা রেস্টুরেন্টে থেকে এসেছেন বা এখান থেকে কিনে নিয়ে খুচরা বিক্রি করবেন। সাধারণ ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম।
রামপুরা বাজারের ইলিশ বিক্রেতা শামসুদ্দিন বলেন, ‘কিছুদিন আগেও বড় বড় ইলিশ বিক্রি করেছি। অথচ আজ (মঙ্গলবার) দেশি ইলিশ আনলেও ক্রেতা কম। ভাবছি, আবার লোকসানে পড়তে হবে না তো?’
তবে দু’একদিনের মধ্যে আরও বেশি ইলিশ এলে ক্রেতা চাহিদা বাড়বে বলেই মনে করেন তিনি।
মা ইলিশ রক্ষা ও ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতে ০১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ফলে ওই দিনগুলোতে ইলিশ আহরণ, বাজারজাতকরণ ও মজুত করতে পারেননি জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
এসজে/এএসআর