মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
‘রোহিঙ্গা সেবায় ২১ দিন ও নিরাপদ খাদ্য’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা আয়োজন করে ঢাকাস্থ নারাণগঞ্জ জেলা সমিতি।
সমিতির সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক এর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, নারাণগঞ্জ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে এম আবু হানিফ হৃদয় প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নারাণগঞ্জ জেলা সমিতির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মীর আব্দুল আলীম।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশ এক সংকটকাল অতিক্রম করছে। এই বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা দেওয়া সহজ কথা নয়। তারপরও মানবিক কারণে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের আশ্রয় দিয়েছেন, খাবারের ব্যবস্থা করেছেন, বাসস্থান নির্মাণ করে দিচ্ছেন। সারা পৃথিবীর মানুষ তার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে। কিন্তু দেশের একটি গোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায় নি।
তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট স্থানে রোহিঙ্গাদের শৃঙ্খলার মধ্যে চেষ্টা করছি। কিন্তু দেশের একটি অশুভ শক্তি চায়, রোহিঙ্গারা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক এবং জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ত হোক। আমাদের সবাইকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমরা আশাবাদী, বিশ্ব সম্প্রদায় এ ব্যাপারে এগিয়ে আসবে এবং রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেবে।
খাদ্য নিরাপত্তার ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনের প্রথম ধাপ থেকে শুরু করে খাবারের টেবিল পযর্ন্ত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করছি। তবে এ কাজ সরকারের একার পক্ষে সম্পন্ন করা সম্ভব না। সবাইকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
এজেড/জেডএম