ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রাজি মিয়ানমার, হচ্ছে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
রাজি মিয়ানমার, হচ্ছে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক, ছবি: বাংলানিউজ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অব্যাহত গণহত্যা ও সহিংসতার জেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মত হয়েছে দেশটি। এজন্য ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল দেশটিতে সফর করছেন। সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানী নেপিডোতে তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লে. কর্নেল চ সুয়ি এবং পুলিশ প্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।



এদিকে বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর (কার্যত সরকার প্রধান) অং সান সু চির সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে।

এর আগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের বিষয়ে প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে গত ২ অক্টোবর এমন কথাবার্তা হলেও এতোদিন কোনো অগ্রগতি ছিল না। যা স্বীকার করেছিলেন খোদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনীতিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এটি স্বীকার করেছিলেন। বৈঠক ব্যানার

দেশে-বিদেশে সমালোচনার মধ্যে মঙ্গলবারের বৈঠকে মিয়ানমার কফি আনান প্রতিবেদন বাস্তবায়নেও সম্মত হয়েছে। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে দুটি পৃথক চুক্তিও হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, বর্ডার লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা ও সংলাপ আয়োজন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে দুই দেশের সমান সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে খুব দ্রুতই একটি যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হবে। নভেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে এই যৌথ কমিটি গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

তিনি জানান, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে তিনি বলেছেন, কফি আনান কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে যৌথ এই কমিটি ঠিক করবে রোহিঙ্গাদের কীভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, তারা ফেরত নেওয়ার কথা বলেছে, তারা জানিয়েছে তাদের সরকার প্রধান কফি আনান কমিশন বাস্তবায়নের জন্য কয়েকটি কমিটি তৈরি করেছে। কিন্তু আমরা বলেছি বাংলাদেশের সমান সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির তত্বাবধানেই কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হতে হবে।

মন্ত্রী জানান, তিনি রাখাইনে নির্যাতন বন্ধের দাবি করেছেন যাতে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়। উত্তরে মিয়ানমার জানিয়েছে, কোনো নির্যাতন হচ্ছে না, রোহিঙ্গারা নিজেরাই চলে যাচ্ছে। সেসময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের যাওয়া ঠেকানো হোক তবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, তিনি নিজে রাখাইনে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ইতিবাচক সাড়া পাননি।

সীমান্তে মাইন নিয়ে তিনি বলেন, এ কথা উত্থাপনের পর, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ‘অন্যদের’ দোষারোপ করেছে। তবে তাদের সরকার এটি অপসারনের উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছে।

এছাড়া কথা হয়েছে, বিদ্রোহী সংগঠন রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) নিয়ে বাংলাদেশ গোয়েন্দা তথ্য দেবে মিয়ানমারকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭/আপডেট ২০০০ ঘণ্টা
আরএম/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।