তুরস্ক পারমাণবিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্প্রতি এ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রকল্পের অবকাঠামো উন্নয়নের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আক্কিইউ। কেন্দ্রের নিরাপত্তায় সীমিত পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ করতে কোম্পানিটিকে দেশটির পারমাণবিক কর্তৃপক্ষ অনুমতিও দিয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এএসই গ্রুপ অব কোম্পানিজ পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে বাংলাদেশের প্র্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এ প্রকল্পে সর্বাধুনিক ৩+ প্রজন্মের দু’টি বিদ্যুৎ ইউনিট থাকবে। এর প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট।
আক্কিইউ (Akkuyu) হবে তুরস্কের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে রাশিয়ার রসাটম অর্থ সহায়তাসহ অবকাঠামো নির্মাণ, জ্বালানি সরবরাহ, প্রশিক্ষণ, বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা, বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিদ্যুতের গ্রিড সংযোগ, সরবরাহ নিশ্চিতসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেবে।
আক্কিইউ নির্মাণে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে ২০১০ সালের মে মাসে আঙ্কারায় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ প্রকল্পে রাশিয়া ২০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সহায়তা দেবে।
ভিভিআর-১২০০ (VVER-1200) এর চার ইউনিটের এ পাওয়ার প্লান্টের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ৪.৮ গিগাওয়াট। রাশিয়ার নভভোরনোজে (Novovoronezh) এ ধরনের পাওয়ার প্লান্ট নির্মিত হয়েছে। আক্কিইউ প্রকল্প থেকে ৬০ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
আক্কিইউ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্ত জুরি গালানচুক (Yuriy Galanchuk) বলেন, ‘এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সীমিত পরিসরে অবকাঠামো নির্মাণের অনুমোদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা এ প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণের প্রস্তুতি পর্বের কাজ শুরু করেছি। যতো দ্রুত সম্ভব এ কাজ শেষ করবো। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে’।
আগামী মাসে তুরস্কের পারমাণবিক নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তারা প্রকল্পটির কাজের অগ্রগতি দেখে মূল্যায়ন প্রতিবেদন দেবেন। এর ভিত্তিতে তুরস্কের পারমাণবিক শক্তি কর্তৃপক্ষ অবকাঠামো নির্মাণ কাজের সনদপত্র দেবে। আগামী বছরের প্রথম দিকেই এ ছাড়পত্র পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
এসকে/এএসআর