কারিগররা জানান, রেডিমেড লেপ-তোষকের চেয়ে ক্রেতারা পছন্দমতো লেপ-তোষক তৈরি করতে দিচ্ছেন বেশি।
সরেজমিনে বড় বাজারের তুলা পট্টি ঘুরে দেখা গেছে, লেপ-তোষকের কারিগরদের শীত আসার আগেই শুরু হয়ে গেছে ব্যস্ততা।
একই ভাবে মহানগরীর শের-এ-বাংলা রোডের লেপ-তোষকের দোকানেও বাড়ছে ভিড়।
কারিগররা বলছেন, ক্রেতাদের এই আনাগোনা চলবে পুরো শীতজুড়ে। বছরের অন্যান্য সময় মন্দাদশা থাকলেও শীতের মওসুমে বেশ চাঙ্গা এ ব্যবসা।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বড়বাজারের তুলা পট্টির মেসার্স মৃধা ক্লথ স্টোরের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা এখন ব্যাপক কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। লেপ-তোষকের দোকানে বাড়ছে বেচা-কেনা। এসব দোকানের কর্মচারীদের এখন অলস সময় কাটানোর একদম ফুরসত নেই। যতই শীত বাড়বে ততই লেপ তৈরির প্রতিষ্ঠানের কারিগরদের ব্যস্ততা আরো বৃদ্ধি পাবে।
একই পট্টির এম নওয়ার আলী এন্ড সন্স এর বিক্রেতা রনজিৎ বলেন, আগেভাগেই মানুষ দোকানে লেপ তোষক এবং জাজিম বানাতে আসছেন। যে কারণে কারিগররা ব্যস্ত।
লেপ-তোষক তৈরির দোকানে ভীড় করা ক্রেতারা জানান, কাপড়, তুলাসহ মজুরি বেড়ে গেছে। শীত বেড়ে গেলে এগুলোর দাম আরো বেড়ে যাবে। যে কারণে আগেই লেপ-তোষক তৈরি করাচ্ছেন।
এম রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, দিনে গরম হলেও রাতের শীতল হাওয়া আর ভোর রাতের ঘন কুয়াশাই বলে দিচ্ছে শীত এসেছে। তাই তো লেপ-তোষকের দোকানে এসেছি। তবে দাম একটু বেশি বলে মনে হচ্ছে।
নগরীর শের-এ-বাংলা রোডের সাজ্জাদ বের্ডিং হাউজের কারিগর রবিউল মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, তুলার মান ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করে লেপ-তোষক তৈরির খরচ। এবার তুলার দাম বাড়েনি। তবে কাপড়ের দাম বেড়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
এমআরএম/জেডএম