ডিসেম্বরের প্রথম দিনে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত পোপ সর্বসাধারণকে দর্শন দেবেন। এ সময় ১৬ জন যাজককে অভিষিক্ত করা হবে।
বাংলাদেশে পোপের সফর-২০১৭ এর প্রধান সমন্বয়ক বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ বুধবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এতথ্য জানান।
বিশপ শরৎ জানান, ৩০ নভেম্বরের পুরোটা জুড়েই থাকবে রাষ্ট্রীয় সফর কর্মসূচি। এদিন স্মৃতিসৌধ, ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিজাদুঘর পরিদর্শন ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পোপ।
পরের দিন ডিসেম্বরের প্রথম দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে ভ্যাটিকান সিটির ঢাকা অ্যাম্বেসিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এদিন বিকেলে রমনা চার্চে আন্তঃধর্মীয় সমাবেশে সকল ধর্মের নেতাদের সঙ্গে এক সেমিনারে অংশ নেবেন পোপ।
২ ডিসেম্বরে সকালে তেজগাঁও চার্চ এবং সেখানে মাদার তেরেসা অরফানেজ সেন্টার দেখতে যাবেন পোপ। বিকেলে নটরডেম কলেজে যুব সম্মেলন এবং নটরডেম ইউনিভার্সিটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে ঢাকায় তার সফর শেষ হবে।
এরপরই সরাসরি বিমানবন্দর থেকে ঢাকা ছাড়বেন পোপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি বলেন, পোপ বাংলাদেশ বিমানে ঢাকায় আসবেন এবং ঢাকা ছেড়ে যাবেন। বাংলাদেশে পোপের আগমনে বাংলাদেশ বিশ্বজুড়ে বড় পরিসরে বিরল প্রচারণা পাবে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, পোপের এ সফর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে। বিশ্বে যখন সন্ত্রাস ও উগ্রবাদিতা জেগে উঠতে ও মাথাচাড়া দিতে চাচ্ছে, তখন পোপের এই সফর শান্তির বার্তা বয়ে নিয়ে আসবে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ক্যাথলিক চার্চের অবদান এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে যাজকদের অবদান নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তথ্যসচিব মর্তুজা আহমেদসহ পোপের সফর-কমিটির সদস্যবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
এমএন/জেএম