বুধবার (২৫ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে সব আসামির জামিন নাঞ্জুর করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) একেএম নাছিমুল আক্তার বাংলানিউজকে জানান, রোববার (১৫ অক্টোবর) পুলিশ বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়। পরদিন সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিচারিক হাকিম আদালত থেকে বিচারিক আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র পাঠানো হয়। বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটির ধার্য তারিখ ছিল ১৩ নভেম্বর। কিন্তু রুপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আব্দুল মান্নান শুনানি শেষে ১৩ নভেম্বরের স্থলে তারিখ এগিয়ে এনে ২৫ অক্টোবর অভিযোগপত্র গ্রহণের নতুন তারিখ ধার্য করেন।
বুধবার শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বিচারিক হাকিম আদালত আগামি ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র গঠনের দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে আসামি পক্ষের আইনজীবী শামীম চৌধুরী দয়াল সব আসামির আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে রূপাকে ধর্ষণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। পরে তাকে ঘাড় মটকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
২৮ আগস্ট রূপার ভাই মধুপুর থানায় এসে মরদেহের ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর, সুপারভাইজার সফর আলী এবং সহকারী শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের কাছে তারা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে। ৩১ আগস্ট রূপার মরদেহ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।
১২ সেপ্টেম্বর ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সাইফুর রহমান খান ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমা দেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন মাথায় আঘাত জনিত কারণে রূপার মৃত্যু হয় এবং মৃত্যুর আগে রূপাকে ধর্ষণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময: ১৫১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
আরবি/
