বুধবার( ২৫ অক্টোবর) দুপুরে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.মইনুল খান।
তিনি জানান, সকালে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে আসে মোশারফ হোসেন।
মইনুল খান আরও জানান, স্বর্ণবহনকারীর চোখে নিচের কালো দাগ ও হাঁটাচলায় অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। এতে শুল্ক গোয়েন্দার সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয়। তবে মোশারফ তার পেটে স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করে আসছিলো। পরে তাকে শুল্ক গোয়েন্দার অফিসকক্ষে এনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু সে বারবার তার কাছে স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করতে থাকে। পরে আর্চওয়ে মেশিনে হাঁটিয়ে প্রাথমিকভাবে তার কাছে স্বর্ণ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, নিজে থেকে বের না করে দেওয়ায় যাত্রীকে উত্তরার একটি ক্লিনিকে নিয়ে এক্সরে করানো হয়। রিপোর্টে যাত্রীর পেটে স্বর্ণের অস্তিত্ব সম্পর্কে আরো নিশ্চিত হয় শুল্ক গোয়েন্দা।
এরপর যাত্রীকে বিমানবন্দর এনে শরীর থেকে স্বর্ণ বের করার চেষ্টা চলতে থাকে। পরে শুল্ক গোয়েন্দাদের উপস্থিতিতে টয়লেটের অভ্যন্তরে বিশেষ কায়দায় পায়ুপথ দিয়ে একে একে ৭টি স্বর্ণবার বের করে আনে মোশারফ। পরে তার মানিব্যাগ থেকে আরও ১টিসহ মোট ৮টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়। এসব স্বর্ণ সে তার রেক্টামে বহন করছিলো।
জিজ্ঞাসাবাদে সে আরো জানায়, এসব স্বর্ণ আকাশপথে টয়লেটের ভেতরে গিয়ে সে নিজেই পুশ করে। শুল্ক গোয়েন্দাদের নজরদারির হাত থেকে বাঁচার জন্য এই ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতি গ্রহণের কথা জানায় মোশারফ।
শুল্ক গোয়েন্দা জানিয়েছে, মোশারফ ২০১৭ সালে ৫০ বার কুয়ালালামপুর ভ্রমণ করে। তবে প্রতিবার স্বর্ণ বহন করেছিলো কি না তা জানার চেষ্টা চলছে। জব্দ প্রতিটি স্বর্ণবারের ওজন ১০০ গ্রাম করে ৮টি বারের মোট ওজন ৮০০ গ্রাম। জব্দ স্বর্ণের মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। আটক মোশারফ হোসেনকে চোরাচালানের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫,২০১৭
এসজে/আরআই