বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগী পরিবারটি বিষয়টি পুলিশকে জানায়। এরআগে, মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের মনপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ইভটিজিংয়ের শিকার নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া ইসলাম মুন্নি, তার বাবা মো. ইয়াছিন, মা জেসমিন আক্তার, বোন সারমিন আক্তার ও মামি ডলি আক্তার।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রীর বাবা ইয়াছিন বাংলানিউজকে জানান, পার্শ্ববর্তী আলামপুর গ্রামের রফিক উল্যাহ্’র ছেলে রাজু দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছিলেন। সম্প্রতি বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তার মেয়ে কলেজ শেষ করে মাইজদী-রাজগঞ্জ সড়ক দিয়ে হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এসময় রাজু পেছন থেকে দৌড়ে এসে তার মেয়েকে মারতে থাকে। এসময় মেয়েকে বাঁচাতে পরিবারের সদস্যরা ছুটে যান।
এর কিছু সময় পর রাজুর ভাই সাজু, স্থানীয় বখাটে রিয়াজ, জাকের হোসেন ও বাবুসহ কয়েকজন ছুরি ও লাঠি নিয়ে এসে তাকে ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন এবং তার দুই মেয়ে ও শ্যালকের স্ত্রীকে মারধর করেন। বর্তমানে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব মোর্শেদ বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এ বিষয়ে আহতদের থানায় মামলা দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
এনটি